সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং স্থান

পতঞ্জলির মহাভাষ্য থেকে শুরু করে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের পরিব্রাজনবৃত্তান্ত, মহাভারত থেকে শুরু করে বাংলার অন্নদামঙ্গলের বিদ্যাসুন্দর উপাখ্যান অবধি বহু সাহিত্যে তামিলনাড়ুর একটি সমৃদ্ধ জনপদের কথা জানতে পারা যায়। তার নাম কাঞ্চীপুরম। ১০০০-১৩০০ বছর পুরোনো এতগুলি ফ্রি-স্ট্যান্ডিং স্থাপত্য এরকম অক্ষত অবস্থায় এত বছর ধরে টিকে থাকার উদাহরণ পৃথিবীতে কমই আছে। সেই বিচারে কাঞ্চীপুরম রোম আর খাজুরাহের সঙ্গে তুলনীয়। ভারতের সবচেয়ে পুরোনো ফ্রি-স্ট্যান্ডিং স্থাপত্যগুলির মধ্যে পড়ে গুপ্ত ও চালুক্যদের বিভিন্ন মন্দির, আর তারপরেই পল্লব স্থাপত্য। পল্লব স্থাপত্য দেখার দুটো সেরা জায়গা হল মহাবলীপুরম (সপ্তম শতক) আর কাঞ্চীপুরম (অষ্টম শতক)। কাঞ্চীপুরমে আছে চোল আর বিজয়নগর যুগের মন্দিরও।
ডা. দিলীপ মহলানবিশ ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করে তিনি ব্রিটেনে যান ও সেখানে চাকরি করতে করতে শিশুরোগ চিকিৎসার ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি দেশে ফিরে এসে কলকাতার জন হপকিন্স সেন্টার ফর মেডিকেল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এ যোগ দেন, এবং ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। ডা. মহলানবিশ আফগানিস্তান, মিশর এবং ইয়েমেনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে ১৯৭০-র দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। ১৯৮০-র দশকে তিনি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের চিকিৎসা নিয়ে গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শদাতা ছিলেন।
আদিগন্ত বিস্তৃত সিকিম হিমালয়ের দুর্গম দক্ষিণ কোলে ছোট্ট গ্রাম সাংমু। ১৯০২ সালের কোন এক ভোরে আচুং লেপচার বাড়িতে জন্ম নিলো এক কন্যা। একটু বড় হতেই আঙিনায় প্রাচীন পিয়ার গাছটির আশপাশে খেলে বেড়ায় সে। ফুটফুটে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে হেলেন। আচুং তাঁর সাত সন্তানকেই আধুনিক ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছিলেন। তাই গ্রাম ছেড়ে সপরিবারে উন্নততর জীবনের খোঁজে তিনি বাসা বাঁধলেন দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং শহরে। হেলেন তখন বেশ ছোট্ট। শহরের স্কটস্‌ মিশনারি স্কুলের প্রাথমিক বিভাগে ভর্তি করা হলো হেলেনকে। কিন্তু স্কুলের গণ্ডিবদ্ধ পঠন-পাঠন আর কঠোর শৃঙ্খলা মোটেই ভালো লাগতো না শিশুটির। তাই কষ্টেসৃষ্টে কয়েক বছর পড়ে মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাড়ির প্রবল অমত সত্ত্বেও বিলাতি স্কুল ছেড়ে দিল হেলেন।