সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সামাজিক ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশে বৈদিক জনগোষ্ঠীদের বিবাহের ধারণা সম্পর্কে প্রাচীনতম উল্লেখ রয়েছে ঋগ্বেদের বিবাহ সূক্তে (১০.৮৫)। সাধারণপূর্বাব্দের প্রথম সহস্রাব্দ জুড়ে রচিত বৈদিক সাহিত্য থেকে তৎকালীন বৈদিক জনগোষ্ঠীদের মধ্যে বিবাহ সম্পর্কিত ধারণার ক্রমিক বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এই সহস্রাব্দের শুরুর দিকে রচিত কৃষ্ণযজুর্বেদের তৈত্তিরীয় শাখার সংহিতায় (৬.১.৬.৬) উল্লেখ করা হয়েছে পিতা তাঁর কন্যাকে অন্য একটি পরিবারকে দান করেন (অর্থাৎ, কোন ব্যক্তিকে নয়)। এর বেশ কয়েক শতাব্দী পর, এই প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতিধ্বনি শোনা যায় এই তৈত্তিরীয় শাখারই আপস্তম্ব ধর্মসূত্রে (২.১০.২৭.৩), যেখানে বলা হয়েছে, নারীদের অন্য একটি কুলে দান করা হয় (কোন ব্যক্তিকে নয়)। আদি মধ্যযুগে লেখা স্মৃতিচন্দ্রিকা গ্রন্থে অধুনালুপ্ত বৃহস্পতির ধর্মশাস্ত্র থেকে উদ্ধৃত শ্লোকেও এই রীতির উল্লেখ রয়েছে। মহাভারতে উল্লিখিত দ্রৌপদীর সঙ্গে পঞ্চ পাণ্ডব ভ্রাতাদের বিবাহও এই প্রাচীন প্রথার স্মারক। সংস্কৃতে ‘দেবর’ শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থও এই প্রাচীন বিবাহ প্রথারই ইঙ্গিতবাহক।
'পেশিটা' হল সিরিয়াক বাইবেল। মূলগতভাবে আরামাইক ভাষায় লেখা। পৃথিবীর অধিকাংশ খ্রিষ্টানই গ্ৰীক বাইবেলের অনুবাদ পাঠ করে, কিন্তু খ্রিষ্টধর্মের যে শাখাগুলো সিরিয়া বা আসিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত তারা পেশিটা বা সিরিয়াক বাইবেলের অনুবাদ পাঠ করে। এই শাখাগুলির বেশিরভাগই কেরলে আর মধ্যপ্রাচ্যে। এই শাখাগুলি হল কেরলের সিরো-মালাবার ক্যাথলিক, জেকোবাইট সিরিয়ান অর্থোডক্স, মলঙ্কর অর্থোডক্স, মার থোমা ইত্যাদি, আর মধ্যপ্রাচ্যের সিরিয়ান অর্থোডক্স আর আসিরিয়ান চার্চ অফ ইস্ট। পেশিটা গ্ৰীক বাইবেলের থেকে কিছুটা আলাদা। এটি যীশুর মাতৃভাষা আরামাইকে লেখা। কারো কারো মতে এটি গ্ৰীক বাইবেলের থেকে কিছুটা পুরোনো- যদিও সেটা নিয়ে সংশয় আছে- গ্ৰীক বাইবেলকেই সবচেয়ে পুরোনো বাইবেল বলে ধরা হয়।