সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সাংস্কৃতিক ইতিহাস

ইদানীং ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে নানা তরজা চোখে পড়ে। তার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় তরজার বিষয় হল বিরিয়ানি সত্যিই মোগলরা ভারতবর্ষে নিয়ে এসেছিল কি না! বিরিয়ানি নিয়ে বাঙালির আহ্লাদের অন্ত নেই। ক’বছর আগে পর্যন্ত কলকাতার বিরিয়ানিতে ইতিহাসের চর্চা বলতে ওয়াজিদ আলি শাহ পর্যন্তই ছিল। বরং কোন দোকানের বিরিয়ানি ভালো, সে ব্যাপারে বাঙালির উৎসাহ ছিল বেশি — সিরাজ, আমিনিয়া, আলিয়া, রয়্যাল, আরসালান ইত্যাদি। আইটি সূত্রে বাঙালি হায়দরাবাদে ঘনঘন যাওয়ায় প্যারাডাইসের হায়দরাবাদি বিরিয়ানিও আলোচনায় ঢুকে পড়ে। তবে পছন্দ যাই হোক না কেন, তাজমহল কিংবা ফতেপুর সিক্রির মতো বিরিয়ানিও যে মোগলাই অবদান, এ ব্যাপারে বাঙালি ছিল নিশ্চিন্ত। কিন্তু গোল বাধল বছর কয়েক আগে। দেশ জুড়ে মোগলদের বিরুদ্ধে প্রবল ‘আন্দোলন’ (বকলমে কুৎসা) শুরু হওয়ায় বিরিয়ানিকেও পরিচয়পত্র জোগাড়ে নামতে হল। তবে ভাগ্য ভালো, বিরিয়ানি মোগলাই খাবারের তালিকায় আছে বলে তাকে দেশছাড়া করার হুমকি দেওয়া হয়নি। বরং তাকে খাঁটি ভারতীয় খাবার বলে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস শুরু হল।
সাধারণপূর্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে উপমহাদেশে জনপদগুলো গঠিত হয়েছে। এই সময়ের ইতিহাস জানার অন্যতম সূত্র হল প্রাচীন গ্রন্থসমূহ, গ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কৌটিল্য প্রণীত অর্থশাস্ত্র। কৌটিল্যর সময়কাল মোটামুটি সাধারণপূর্ব ৩৭০-২৮৩ অব্দ। অর্থশাস্ত্র হল মূলত রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সামরিক কৌশল সম্পর্কিত প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃত গ্রন্থ। পাঠ্যটি সম্ভবত বহু শতাব্দী ধরে অনেক লেখকের কাজের সম্মিলিত রূপ। সাধারণপূর্ব ২য় শতাব্দী এবং সাধারণপূর্ব ৩য় শতাব্দীর মধ্যে এই গ্রন্থ রচনা, সম্প্রসারিত ও সংশোধিত হয়। ঐতিহ্যগতভাবে কৌটিল্যকে এই গ্রন্থের লেখক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।