সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

লেখক: সৌভিক ঘোষাল

সৌভিক ঘোষাল
লেখক সাহিত্যের শিক্ষক। আগ্রহের বিষয় ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব।
[২০২১ সাল নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জন্মের ১২৫ তম বার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে বাংলা ও দেশজুড়ে তাঁকে নিয়ে নতুন করে চর্চার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সুভাষচন্দ্র সম্পর্কে চর্চার সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ও তাঁকে নিয়ে গড়ে ওঠা নানা মিথ ও রহস্য কাহিনী। আই. এন. এ. র বীরত্বপূর্ণ লড়াই বা মহানিষ্ক্রমণ নিয়ে কিছু চর্চার বাইরে তাঁর রাজনীতির বিভিন্ন পর্বকে ইতিহাসের পটে রেখে সামগ্রিক আলোচনা বেশ কম। কয়েকটি পরস্পর সম্পর্কিত লেখায় আমরা সেই চর্চার দিকে জোর দিতে চাই। বর্তমান নিবন্ধটিতে তার সূচনা। এখানে আলোচিত হয়েছে বিশ শতকের বিশের দশকে তরুণ সুভাষচন্দ্র যখন আই. সি. এস. এর চাকরী ছেড়ে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, তখনকার রাজনৈতিক ইতিহাস। এই পর্বে সুভাষ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অনুগামী।]
প্রাচীন ভারতের ভাষাচিন্তার কথা উঠলেই যাঁর নাম সবার প্রথমে মাথায় আসে তিনি হলেন পাণিনি। তাঁর সময়কালটি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে তাঁর লেখা অষ্টাধ্যায়ী সেকালে যেমন প্রবল প্রভাব বিস্তার করেছিল, তেমনি একালেও বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনুবাদের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ভাষাচর্চায় তা প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাণিনির আগেই শব্দ উৎস সন্ধান করে যাস্ক লিখেছিলেন তাঁর নিরুক্ত। অন্যান্য নিরুক্তকারদের রচনা আমরা পাই নি। পাণিনির পরে ভারতীয় ব্যাকরণ চর্চায় যে দুই বিখ্যাত ভাষাচিন্তকের নাম আমরা পাই তাঁরা হলেন খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর কাত্যায়ন এবং খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকের পতঞ্জলি।