সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

ইডা স্কুডার: মানবিকতার প্রতিমূর্তি

ইডা স্কুডার: মানবিকতার প্রতিমূর্তি

নবশ্রী চক্রবর্তী বিশ্বাস

মার্চ ৪, ২০২৩ ৩১৭ 1

দক্ষিণ ভারতের এক ছোট্ট পাহাড়ঘেরা গ্রাম। সূর্যাস্তের পর চতুর্দিক নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। পথ ঘাট জনমানব শূন্য। আঁধাররাতে ছোট ছোট পাহাড়গুলোকে দেখে মনে হচ্ছে, যেন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। গ্রামের প্রান্তে এক ছোট বাংলো। সেই বাংলো থেকে টিমটিম আলো দেখা যাচ্ছে। রাত যত গভীর হতে লাগলো চতুর্পাশ আরও নিঝুম হয়ে গেলো। তখনো বাংলো থেকে মোমবাতির আলো আসছে। দরজা জানলা সব বন্ধ। হালকা হালকা শীত পড়েছে। চাদর মুড়ি দিয়ে এক যুবক দ্রুত পদে বাংলার দরজায় পৌঁছে কড়া নাড়তে লাগলেন। বেশ কিছুক্ষণ কড়া নাড়ার পর বাংলার দরজা উন্মুক্ত হোল। যিনি দরজা খুললেন, তিনি যুবতী এবং বিদেশিনী। যুবক উদ্বিগ্ন হয়ে তার অবস্থা ব্যক্ত করলেন। যুবতী কিন্তু যুবকের ভাষা ও পরিস্থিতি দুটোই বুঝতে পারলেন। যুবক জানালেন, তার স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। এই মুহূর্তে না গেলে তার স্ত্রীর প্রাণ সংশয় হতে পারে। যুবতী দেখলেন গ্রামের ব্রাহ্মণ যুবক। বড়ই বিপদে পড়েছেন। কিন্তু তিনি নিরুপায়।

যুবতী জানালেন, ‘আপনি অপেক্ষা করুন, আমি আমার পিতাকে জানাচ্ছি।’

উত্তরে যুবক বললেন, ‘না আপনাকেই যেতে হবে। কোনো পুরুষমানুষ আমার স্ত্রীর চিকিৎসা করতে পারেন না।’

যুবতী বললেন, “আমি তো ডাক্তার নই! আমার পিতা ডাক্তার!”

তবুও যুবক কাকুতি মিনতি করতে থাকলেন। যুবতী বাধ্য হয়ে তাকে চলে যেতে বললেন। কিছুক্ষণ পর আবার এক যুবক উপস্থিত হলেন। দরজা খুলতেই সেই যুবকও একই আবেদন নিয়ে অনুনয় বিনয় করতে থাকলেন। যুবতী দেখলেন, যুবক একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। যুবতী তাকেও একই কথা জানালে, তিনিও বললেন, কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে দেখতে পারেন না। বাধ্য হয়ে যুবতী তাকেও ফিরিয়ে দিলেন। এরপর আরেক যুবক এলেন একই প্রার্থনা নিয়ে। যুবতী তাকেও ফেরাতে বাধ্য হলেন। তিন জনের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে যুবতী মোমবাতির নরম আলোয় বই পড়তে লাগলেন। পরদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, সেই তিনটি যুবতী প্রসব যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মারা গেছেন। মুহূর্তে যুবতীর জীবনে ঘটে এক অদ্ভুত পরিবর্তন! চিকিৎসকের পৌত্রী ও চিকিৎসকের কন্যা হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসক হওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন আমেরিকায় ফিরে এক ধনী মানুষকে বিবাহ করে সুখে দিনাতিপাত করবেন। কিন্তু অদৃষ্টের লিখন! একই রাতে তিনটি রমণীর মৃত্যু তাকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেয়। তাঁর জীবনের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দেয়। ভবিষ্যতের সুখস্বপ্নে মগ্ন যুবতী স্থির করলেন, আমেরিকা গিয়ে তিনি ডাক্তারি পড়বেন এবং ভারতবর্ষে প্রত্যাবর্তন করে তাঁর সম্পূর্ণ জীবন দরিদ্র আর্তদের সেবায় নিমজ্জিত করবেন।

না, তাঁর মহান কাজ শুধু এতটুকু পরিসরে সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর একার ব্রত শুধু তাঁর জীবনকে পরিবর্তন করেনি, বহু মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেছিল। তাঁর সৃষ্টি শুধু অতীতেই নয়, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভারতীয় চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসে গৌরবোজ্জ্বল হয়ে থাকবে। সে ঘটনাটা প্রথম থেকে বলা যাক।

ডা. জন স্কুডার সিনিয়র (১৭৯৩ -১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দ) জন্মেছিলেন আমেরিকায়। একদিন তিনি একটি বইতে ভারতবর্ষের কথা জানতে পারেন। তখন তিনি সপরিবারে ভারতবর্ষে আসেন এবং কলকাতায় থাকতে শুরু করেন। তিনি এখানে এসেছিলেন মিশনারির কাজে। মূলত ধর্মপ্রচার ছিল তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। তার পাশাপাশি আর্ত-দরিদ্র মানুষের সেবাতেও তারা মননিবেশ করেন। জানা যায়, এখানে তাঁর দুই কন্যার মৃত্যু হয়। তবু তিনি দমে না নিয়ে কাজ চালিয়ে যান। এরপর তিনি দক্ষিণ ভারতের মাদ্রাজে চলে যান সপরিবারে। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ও রেভারেন্ট উইসলো তামিল ভাষায় ধর্মগ্রন্থ প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন প্রথম আমেরিকান মেডিক্যাল মিশনারির উদ্যোক্তা। এরপর কিছু বছরের জন্য আমেরিকা চলে গেলেও ভারতে পুনরায় প্রত্যাগমন করেন এবং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মাদ্রাজেই তিনি তাঁর কর্তব্যে রত ছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য তাঁর শরীরের অবনতি ঘটতে থাকে। শরীরের উন্নতির জন্য তিনি আফ্রিকায় গমন করেন। সেখানেই ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী, ছয় পুত্র ও বাকী দুই কন্যা এই মিশনারিতে যুক্ত হয়েছিলেন।

তাঁর পুত্র ডা. জন স্কুডার ও তাঁর স্ত্রী সোফিয়ার অনেকগুলি কন্যার মধ্যে এক কন্যা ছিলেন ইডা। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ শহরের কিছুটা দূরে রানিপেট নামক এক স্থানে আইডার জন্ম হয়। পিতামহ বা পিতার মত কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না আমেরিকান মেডিক্যাল মিশনারির অংশ হওয়ার। কিন্তু ভাগ্য তাঁর পথ নির্ধারণ করে দেয়।

ইডা তখন আমেরিকায়। তাঁর মা ভারতবর্ষে, অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি স্থির করলেন ভারতবর্ষে মাকে দেখতে যাবেন। সেই মুহূর্তে তার সঙ্গে তার এক বন্ধু দেখা করতে আসেন। বন্ধু বলেন, ‘ইডা, তুমি নিশ্চই ভারতবর্ষে গিয়ে তোমার পরিবারের সকলের মত মেডিক্যাল মিশনারীতে যুক্ত হবে!’ ইডা উত্তর দেন,”না না! আমি কখনোই সেখানে যুক্ত হব না। আমি আমেরিকায় ফিরে এসে বিয়ে করে সংসার করতে চাই।” কিন্তু ইডার জীবনের পথ পরিবর্তন হয় ভারতবর্ষে এসে। প্রথমে বর্ণিত ঘটনাটি তাঁর জীবনের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দেয়।

এরপর ইডা নিজের লক্ষ্য পূরণের জন্য আবার আমেরিকা চলে যান। সেখানে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে নিউ ইয়র্কের কর্নেল মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি ভারতবর্ষে ফিরে আসেন। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। ইডা মাদ্রাজ থেকে ৭৫ মাইল দূরে ভেলোর নামক এক স্থানে মহিলাদের জন্য একটি ছোট মেডিকেল ডিসপেনসারি এবং ক্লিনিক শুরু করেন। তাঁকে অর্থ সংগ্রহের জন্য অনেক মানুষের কাছে অনুনয় বিনয় করতে হয়। অবশেষে, ম্যানহাটনের ব্যাঙ্কার মিস্টার শেল তাঁর পরলোকগতা স্ত্রীর নামে ১০ হাজার ডলার দান করেন। সেই অর্থ ব্যয় করেই বিংশ শতাব্দীর ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যার ইতিহাসে প্রথম মেয়েদের জন্য ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়, যা বর্তমানেও ভারতীয় চিকিৎসা জগতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

ইডা ভারতে ফিরে কলেরা, কুষ্ঠ, দারিদ্র্য, কুসংস্কার – সব কিছুর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দক্ষিণ ভারতের সমাজ তথা ভারতীয় সমাজ সব থেকে বেশী শৃঙ্খলিত ছিল দরিদ্রতা ও কুসংস্কারে। সেই কুসংস্কারের শৃঙ্খল ভেঙ্গে ভারতীয় যুবতীদের চিকিৎসাবিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও তাদের কার্যে নিযুক্ত করা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু এক বিদেশিনী সেটা করে দেখিয়েছেন।

১৯০০ খ্রিস্টাব্দে একটি মাত্র শয্যা নিয়ে এক ছোট ডিসপেনসারি তৈরি করেছিলেন ইডা। সৃষ্টি হলো এক ইতিহাস। জন্ম হলো ‘খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজে’র। এর দু’বছর পর, ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘মেরি ট্যাবার শেল মেমোরিয়াল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। সেই হাসপাতালে নারীদের জন্য ৪০টি শয্যা ছিল। এরপরের বছর থেকে  তিনি স্থানীয় যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। সেইসময় ভারতবর্ষ নানা রোগ-ব্যাধিতে জর্জরিত ছিল। সবার পক্ষে তাঁর ডিসপেনসারিতে আসা সম্ভবপর ছিল না। সেই সমস্যা অনুভব করে তিনি স্থানে স্থানে ডিসপেনসারি খুলতে থাকেন। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে যুবতীদের প্রথাগত ভাবে নার্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। এর কিছু বছর পর, ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে যুবতীদের প্রথাগত ডাক্তারি প্রশিক্ষণের জন্য তিনি ইউনিয়ন মেডিক্যাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে সরকার ঘোষণা করে, মেডিক্যাল ডিগ্রী শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হবে। এই ঘোষণা শোনার পর, ইডা তাঁর মেডিক্যাল স্কুলকে কলেজে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেন। খ্রিষ্টান মেডিক্যাল কলেজ তখন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিগ্রহণে ছিল। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই কলেজে এম.বি.বি.এস. ডিগ্রী দেওয়া শুরু হয়।

এইভাবেই শুরু হয়ে যায় এই কলেজের পথ চলা। ইডা পাশে পান স্থানীয় মানুষের সমর্থন ও বিশ্বাস। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে, এখানে একটি ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু হয়। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম নার্সিং কলেজ স্থাপিত হয়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে, পুরুষদের প্রথাগত মেডিক্যাল প্রশিক্ষণ শুরু হয় এই কলেজে। মেডিকেল স্নাতকোত্তর কোর্স (M.D. এবং M.S.) শুরু হয় ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে সালে নার্সিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স শুরু করা হয়।

তবে শুধু ভারতীয়রাই নয়। এই কলেজের পথ চলায় পাশে ছিলেন অনেক অ-ভারতীয় মানুষ। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ব্রিটিশ সার্জন ডা. থিওডোর হাওয়ার্ড সোমারভেল, ডা. পল ডব্লিউ ব্র্যান্ড, আরেকজন ব্রিটিশ সার্জন, ডা. এডওয়ার্ড গল্ট, একজন অস্ট্রেলিয়ান সার্জন এবং প্যাথলজিস্ট এবং ডা. মেরি ভার্গিস (একজন ভারতীয় শারীরিক চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিশেষজ্ঞ)। এছাড়াও পাশে ছিলেন অনেক গুণী ও ক্ষমতাশালী মানুষ। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, ডা. জোনাস সালক, আমেরিকান ধর্মপ্রচারক বিলি গ্রাহাম, মহাত্মা গান্ধী, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি রাধাকৃষ্ণণ, রাজেন্দ্র প্রসাদ, আব্দুল কালাম, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং বার্মার কাউন্টেস এডউইনা অ্যাশলে মাউন্টব্যাটেন।

আজ এই মেডিক্যাল কলেজের কর্মকান্ড সম্পর্কে সকলেই কমবেশি অবগত। তাই কলেজের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন অনুভব করছি না। কিন্তু যেটুকু সামান্য তথ্য ব্যক্তিগতভাবে অবগত হয়েছি, তার উল্লেখ করছি। ভেল্লোর শহরে খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত। তবে সেখান থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে বাগায়ামে রয়েছে এই কলেজের কর্মকাণ্ডের আরেক প্রতিচ্ছবি।

বাগায়াম এক অতি মনোহরণ স্থান। পাহাড়ে ঘেরা সবুজে মোড়া এক স্থান। শুধু চিকিৎসার প্রয়োজনে নয়, হাওয়াবদলের জন্যও এই স্থান খুব একটা খারাপ বিকল্প নয়। বৃক্ষে ঢাকা এই অঞ্চলের স্থানে স্থানে রয়েছে স্থানীয় মানুষের বাসস্থান, সরকারি দপ্তর, ব্যাংক ইত্যাদি। আর রয়েছে খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের অনেক শাখা। এর মধ্যে রয়েছে দুটি পুনর্বাসন (rehabilitation) কেন্দ্র, যেখানে থাকার সুবন্দোবস্ত রয়েছে। এর অনতিদূরে রয়েছে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, কমিউনিটি হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইউনিট। এখানে খুব সামান্য অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় মানুষ পান প্রশিক্ষিত চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা।

১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে এই মহীয়সী নারীর মৃত্যু হয়। স্রষ্টা বেঁচে থাকেন তাঁর সৃষ্টির মধ্যে। ইডা স্কুডারও জীবিত, জীবিত রয়েছে তাঁর মহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। তিনি তাঁর পিতামহ ও পিতার মত ধর্মপ্রচারক ছিলেন না, ধর্ম প্রচার তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন নারীরা এগিয়ে এসে চিকিৎসা করুক নারীদের। কোনো নারীর যাতে প্রাণ না চলে যায়, কোনো শিশু যাতে প্রাণ না হারায়। এই সেবার ব্রতে ব্রতী হয়ে আজও অনবরত চিকিৎসা করে চলেছে তাঁর সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। আমরা সাধারণ ভারতবাসী চিরকাল ঋণী হয়ে থাকব এই বিদেশিনীর কাছে।

তথ্যসূত্র :

১. Christian Medical College (2005) Ida S. Scudder profile, Christian Medical College Archived 2007-06-23 at the Wayback Machine.

২. Graves Dan (2005) Glimses, issue #113, Christian History Institute, retrieved 9/8/2007 Ida Scudder, A Woman Who Changed Her Mind Archived 2007-02-21 at the Wayback Machine.

৩. Biography: Ida Sophia Scudder, National Library of Medicine National Institutes of Health.

সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্য - এই দুটি বিষয়েই লেখিকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। বর্তমানে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরতা। লেখিকা মূলত ভারতীয় ইতিহাসের উপর প্রবন্ধ ও কাহিনি লেখেন।

মন্তব্য তালিকা - “ইডা স্কুডার: মানবিকতার প্রতিমূর্তি”

  1. এত কিছু জানা ছিলো না।আর ও একজন মহিয়সী নারীর সম্মন্ধে জ্ঞানার্জন করছি ভেবে ভাল লাগছে।
    লেখিকার প্রাণবন্ত ভাষায় স্বল্প পরিসরে ইতিহাস মূর্ত হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।