সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

বিবিধ

আমি বাচুই, এক সাধারণ ইনকা নারী। কোন ষাট সত্তর বছর আগে জন্মেছিলাম পেরুর এক দূরতম অখ্যাত গ্রামে, তারপর থেকে এতগুলো বছর জীবনসংগ্রামেই কেটে গেল। একসময় ছিলাম ইনকা সাম্রাজ্যের সূর্যদেবতা ইন্তি-র জন্য মনোনীত নারী আকলা কুনা (সূর্যকুমারী), কিন্তু ভাগ্যের তাড়নায় আজ আমি এস্প্যানিওল নাবিক কারিনো মাতিয়াসের স্ত্রী ফিওরেলা। আমার সৌভাগ্য কি দুর্ভাগ্য জানিনা, ইন্তি (সূর্য দেব) আর মামাক্যুলিয়া-র (চন্দ্র দেবী) আনুকূল্য ছেড়ে আমাকে পরম পিতার চরণে আশ্রয় নিতে হল। আমাদের দেশের মানুষ লিখতে জানে না, কিন্তু এস্প্যানিওলদের কল্যানে আমি লিখতে শিখেছি, জেনেছি অক্ষরের মাধ্যমে কিভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে হয়।
নূতন রাজ্য দখলের সময় রাজারা ধনসম্পদ লুঠপাট করে, কিন্তু অশুরবানিপাল এমন একজন রাজা ছিলেন যিনি বইপত্র লুঠ করতেন। তবে শুধু লুঠ করে বই সংগ্রহ করতেন তা কিন্তু নয়, তিনি দূর দূরান্তে লোক পাঠাতেন লেখা সংগ্ৰহ করতে, বিদ্বজ্জনদের নিয়োগ করতেন অনুবাদের জন্য। একত্রিত করেছিলেন হাজার হাজার লিখিত মৃৎফলক, আর চামড়া ও প্যাপিরাসে লিখিত অগুনতি পুঁথি। পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাপ্ত গ্রন্থাগারগুলির একটি- তৈরি করেছিলেন এই অশুরবানিপাল (৬৮৫-৬৩১ সাধারণ পূর্বাব্দ)। বর্তমান ইরাকের মোসুল শহরের কাছেই ছিল অশুরবানিপালের রাজধানী- নিনেভা- সেখানেই ছিল অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত এই গ্রন্থাগার। নিও-আসিরিয়ান সাম্রাজ্যের শেষ বড়মাপের সম্রাট ছিলেন তিনি।
এদের মধ্যে সত্যিই কি কোন আবশ্যিক সম্পর্ক আছে ? থাকলেও তা কি সুদূরপরাহত ? না কি নিছকই সমাপতন? একটু খতিয়ে দেখা যাক। “ইনফ্লুয়েঞ্জা” কথাটা প্রথম ব্যবহার হয়েছিল ইটালিতে; শব্দটার উৎপত্তি মধ্যযুগের ল্যাটিন ভাষার ইনফ্লুয়েন্সিয়া (influentia) কথাটা থেকে। অর্থ, ইনফ্লুয়েন্স বা প্রভাব। নক্ষত্রের। ইটালিতে, ~১৫৮০ সালে, যখন নাকি নক্ষত্রলোকের বিশেষ সহাবস্থানে জন্য মানুষ এই রোগের কবলে পড়েছিল। পরবর্তীতে, ১৭৪৩ সালে, রোম থেকে গোটা ইউরোপে যখন জ্বর আর শ্বাসকষ্টের অতিমারি দেখা দেয় এবং বহু লোক মারা যেতে থাকে, ‘ইনফ্লুয়েঞ্জা” কথাটা তখন আবার ঘুরে-ফিরে আসে। সংক্ষেপে আমরা তাদের বলি “ফ্লু”।