সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সম্পাদকীয়

আগস্ট ১, ২০২১

ইতিহাস আড্ডার জন্মদিন ও আগামী বছরের পরিকল্পনা

১৫ আগস্ট এসে গেল। ঠিক এক বছর আগে ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাস চর্চার জন্য বাংলা ভাষায় এই পোর্টাল ইতিহাস আড্ডা জন্ম নেয়। আমরা প্রতিশ্রুত এখানে ইতিহাস নিয়ে আড্ডা দিতে, ইতিহাস তথ্য ও তর্ক’ ফেসবুক গ্রুপ থেকে বাছাই করা প্রবন্ধ এখানে প্রকাশিত ও সংরক্ষণ করতে। আবার ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা করছেন, এমন বিশিষ্ট জনের লেখাও প্রকাশ করা হবে এমন আশা আমরা করেছিলাম। আকাদেমিক ইতিহাসচর্চার অঙ্গনের বাইরে, কিন্তু আকাদেমিক চর্চা থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে, ইতিহাস ও ইতিহাসবোধকে মানুষের সংস্কৃতির অঙ্গ করে তোলার কাজে সৃজনশীল প্রচেষ্টা হিসেবে এই মঞ্চে কাজ করার অঙ্গীকার করেছি।

দীর্ঘ একবছর ধরে বিভিন্ন সময় ও বিষয়ের এক শত লেখা এখানে প্রকাশ করেছি। প্রাগিতিহাস, বিবর্তন, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিক, বিজ্ঞানের ইতিহাস। বিভিন্ন ব্যক্তি ও স্থানের ইতিহাস। এছাড়াও আছে ইতিহাস চিন্তা, ইতিহাসকথা। নতুন করে চালু হয়েছে ইতিহাসের খবর। বাংলা সংবাদপত্রে ইতিহাসের খবরের অপ্রতুলতা আমাদের বাধ্য করেছে এই পোর্টালে ইতিহাস বিষয়ক খবর দিতে। আমরা চালু করছি নিয়মিত বইয়ের রিভিউ।

আমরা চেষ্টা করেছি। উঠে দাঁড়াতে, হাঁটতে।

সেই প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসেবে এবারে এক বছর ধরে একটা প্রজেক্ট নেবার কথা চিন্তা করছি। আগামী ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও দেশভাগের ৭৫ বছর উত্তীর্ণ হবে। স্বাধীনতা ও দেশভাগের আগের এক প্রেক্ষাপট আছে। সেই তিরিশের দশকে চিত্তরঞ্জন দাশ ও তার ভিন্ন ধারার চিন্তা বাঙালিকে দিয়েছিল নিজস্ব আইডেন্টিটি। এরপরে এল বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ। শেষে দেশভাগের সাথে হাত ধরে এল স্বাধীনতা। দেশভাগের সাথে ওপার বাংলা থেকে এল ছিন্নমূল মানুষ। তাদের নিয়ে তৈরি হল উদ্বাস্তু আন্দোলন। আর তার সাথে হল খাদ্যাভাব। মাইলো খাওয়া রাজ্যে বারবার মানুষ এল শহরে – হাতে শূন্য বাটি নিয়ে। বারবার হল খাদ্য আন্দোলন। ষাটের দশকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হল আরেক আন্দোলন- আজকে যার পরিচিতি নকশালবাড়ি আন্দোলন হিসাবে।

শেষে এক সময়ে ওপার বাংলায় শুরু হল মুক্তিযুদ্ধ। দ্বিতীয় স্বাধীনতার যুদ্ধ করলেন ওই পারের বাঙালি।

বিগত শতকের তিরিশ থেকে সত্তরের দশকের প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা ও দেশভাগ নিয়ে আমরা আগামী এক বছর ব্যাপী বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করব। আবার তার সাথেই চেষ্টা করব সেই সময়ের মৌখিক ইতিহাসকে তুলে ধরতে। যারা এখনও বেঁচে আছেন তাদের বা তাদের পরিবারের স্মৃতিকথা সকলের কাছে পরিবেশন করব। তুলে আনব নাম করা বা অনামা মনীষীদের জীবনী। তারা স্বাধীনতার জন্য, মানুষের জন্য, দেশভাগের ফলে ভুক্তভুগি মানুষকে স্থিতু করবার জন্য প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে আপনাদের সকলের সাহায্য কাম্য। আমাদের ইমেইল [email protected] এ খবর বা লেখা পাঠাতে পারেন। সম্পাদকমণ্ডলী উপযুক্ত লেখা নেবেন পোর্টালের জন্য।

সম্পাদকমণ্ডলীর তরফ থেকে সকল লেখক, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানাই।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।