সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

পুরনো সম্পাদকীয়

গত বছর আগস্ট মাসের শেষে ভারতের সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুযায়ী গুজরাত পুলিশ সুরাতে মিতুল ত্রিবেদী নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। সম্ভবত বাণিজ্যের স্নাতক মিতুল ত্রিবেদী চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযানের পর কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সময় নাকি দাবি করছিলেন, তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানী এবং লুনার ল্যান্ডারটি তাঁরই পরিকল্পিত। তিনি আরও দাবি করছিলেন, তিনি ইসরোর প্রাচীন বিজ্ঞানের প্রয়োগ বিভাগে পারদ শক্তিচালিত মহাকাশযান নিয়ে কর্মরত গবেষকদের একজন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই রকম কোনও বিভাগ বা গবেষণার অস্তিত্ব না থাকলেও মিতুল ত্রিবেদীকে একেবারে উড়িয়ে দিলে ভুল হবে।
আজকাল অনেকে ভারতকে ‘গণতন্ত্রের জননী’ বলে অভিহিত করছেন বলে দেখতে পাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হিসাবে তাঁরা প্রাচীন ভারতের গণরাজ্য বলে অভিহিত কয়েকটি জনপদে একক বংশানুক্রমিক শাসকের অনুপস্থিতির উল্লেখ করেন। কিন্তু, ভারতের এই প্রাচীন গণরাজ্যগুলিতে জননীদের রাজনৈতিক অধিকারের কোনও চিহ্নমাত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। ভারতের প্রাচীন যুগে রচিত ধর্মশাস্ত্রে দেখি সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বা সামাজিক অধিকার, নারীদের কোথাও স্থান নেই, নেই তাঁদের বেদ শিক্ষার অধিকার। আদি মধ্যযুগের স্মৃতিশাস্ত্রে সম্পত্তির অধিকার কিছুটা যদি বা নারীদের দেওয়া হল, তো সংযোজিত হল বিধবাদহনের মতো অমানবিক প্রথা।