সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

লেখক: মানসপ্রতিম দাস

বিজ্ঞানের ইতিহাস ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখি ও সম্প্রচারের কাজে তিন দশক ধরে যুক্ত আছেন। স্নাতক থেকে পিএইচডি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আকাশবাণীর অনুষ্ঠান আধিকারিক হওয়ার পাশাপাশি একজন স্বাধীন গবেষক। প্রকাশিত বই: ন্যানোটেকনোলজি, নক্ষত্রের নকশিকাঁথা, শতাব্দীর বিশ্বমারী, জলবায়ু বিতর্ক, একুশ শতকের নোবেলজয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞান, সুস্থায়ী উন্নয়নের নীল নকশা, সত্যেন্দ্রনাথ বসু: একটি জীবনকথা।
একটা রঙ নিয়ে মাতামাতি চরমে। কিন্তু প্রাকৃতিক রূপে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা। অতএব সন্ধান বিকল্পের। ফ্রান্সে জাতীয় শিল্পসমূহকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য তৈরি সোসাইটি ১৮২৪ সালে ঘোষণা করল ছ’ হাজার ফ্রাঁ পুরস্কারমূল্য। যে পারবে ওই রঙের কৃত্রিম রাসায়নিক সংস্করণ বের করতে সেই পাবে পুরস্কার। এমন পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে আগেও। ১৮১৭ সালে ইংল্যাণ্ড-এর রয়্যাল কলেজ অফ আর্টস ঘোষণা করেছিল এমন পুরস্কার তবে সেখানে অর্থমূল্য ছিল অনেক কম। যাই হোক, ফরাসি সংস্থার ঘোষণায় আকৃষ্ট হল সে যুগের সব ধরনের কারিগর। আবোলতাবোল দাবি করে উপার্জন করা ভুয়ো পণ্ডিত থেকে দক্ষ শিল্পী—সবাই ছিলেন প্রতিযোগীর দলে। অবশেষে তুলোঁ শহরের জঁ-ব্যাপতিস্ত গিমেত সাফল হলেন ব্যাপারটায়। প্যারিসে এসে তিনি রীতিমত ব্যবসা শুরু করলেন নিজের তৈরি কৃত্রিম রঞ্জক নিয়ে। প্রাকৃতিক রঞ্জকের দামের এক-দশমাংশ দামে তিনি বিক্রি করতে লাগলেন নিজের রাসায়নিক রঞ্জক।