সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

পুরনো সম্পাদকীয়

জুন মাস পলাশীর যুদ্ধের মাস, তাই পরাধীন ভারতে স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের ইতিহাস চর্চা সম্বন্ধে কিছু ভাবনা-চিন্তা করার উপযুক্ত কাল। সম্প্রতি ‘হীরামণ্ডি’ নামের একটি জনপ্রিয় আন্তর্জাল মাধ্যমের ধারাবাহিকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে লাহোরের তওয়াইফদের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে। এই বছরই প্রকাশিত ‘ড্যান্স টু ফ্রীডম’ বইটিতেও এই একই ইতিহাস চর্চিত হয়েছে। তওয়াইফদের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণের ইতিহাস নিয়ে এই যে চিন্তন শুরু হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের প্রান্তিক মানুষদের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত দু’টি বৃহত্তর বিষয় নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। প্রথমত, ভারতের প্রাক-ঔপনিবেশিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার ফলে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকরা সমাজের কোন অংশগুলিকে অর্থনীতির মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে প্রান্তিক জীবনযাপনে বাধ্য করেছিল, আর দ্বিতীয়ত, ব্রিটিশ ভারতের প্রান্তিক মানুষেরা কবে ও কীভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।
গত বছর আগস্ট মাসের শেষে ভারতের সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত একটি সংবাদ অনুযায়ী গুজরাত পুলিশ সুরাতে মিতুল ত্রিবেদী নামে এক ব্যক্তিকে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। সম্ভবত বাণিজ্যের স্নাতক মিতুল ত্রিবেদী চন্দ্রযান-৩-এর সফল অভিযানের পর কয়েকটি সাক্ষাৎকারের সময় নাকি দাবি করছিলেন, তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বিজ্ঞানী এবং লুনার ল্যান্ডারটি তাঁরই পরিকল্পিত। তিনি আরও দাবি করছিলেন, তিনি ইসরোর প্রাচীন বিজ্ঞানের প্রয়োগ বিভাগে পারদ শক্তিচালিত মহাকাশযান নিয়ে কর্মরত গবেষকদের একজন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার এই রকম কোনও বিভাগ বা গবেষণার অস্তিত্ব না থাকলেও মিতুল ত্রিবেদীকে একেবারে উড়িয়ে দিলে ভুল হবে।