সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

ইতিহাস তথ্য ও তর্কর উপস্থাপনায়, প্রকাশিত হয়েছে ‘বঙ্গ ইতিহাস প্রবাহ’

সাম্প্রতিক লেখা

আলমপুরের নবব্রহ্মা মন্দিরগুচ্ছ ৭ম থেকে ৯ম শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত নয়টি প্রাচীন বাদামি চালুক্য মন্দির৷ এই মন্দিরগুলি অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্তে তুঙ্গভদ্রা নদী এবং কৃষ্ণা নদীর মিলনস্থলের কাছে তেলঙ্গানার আলমপুরে অবস্থিত। তাদের অনুপম স্থাপত্যশৈলীর জন্য মন্দিরগুলি বিশিষ্ট বটে, তবে আরেকটি কারণে তারা ভারতীয় শিল্প-স্থাপত্যের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ এক দেবতা-গোষ্ঠী, নিত্যপূজায় যাদের উদ্দেশ্যে গন্ধপুষ্প নিবেদন অবশ্য-কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়, সেই দিকপাল-দেবতাদের তাদের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মন্দিরের নির্দিষ্ট অংশে রূপায়ণের প্রাচীনতম সংরক্ষিত উদাহরণগুলো এই মন্দিরগুলিতেই দেখা যায়।
আজকাল আন্তর্জালের দৌলতে গ্রন্থাগার বললেই ডিজিটাল গ্রন্থাগারের কথা মনে হয়। কিছুদিন আগে পর্যন্তও গ্রন্থাগার বলতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বহুসংখ্যক গবেষক বা ছাত্রের পাঠের সুবিধাযুক্ত বিপুল মুদ্রিত পুস্তকের সংগ্রহশালার কথা চোখের সামনে ভেসে উঠত। কারও হয়তো কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারের কথা মনে হতো, কারও বা ব্রিটিশ লাইব্রেরির কথা। ভারতীয় উপমহাদেশে ছাপা বইয়ের সূত্রপাত বেশি দিনের নয়। এর পূর্ববর্তী দীর্ঘ কালপর্বে এই উপমহাদেশের গ্রন্থভাণ্ডারগুলি ছিল হাতে লেখা পাণ্ডুলিপির পুথিশালা। ভারতীয় উপমহাদেশে গ্রন্থাগারগুলি মূলত শাসকদের বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় স্থাপিত হয়েছিল, তবে অন্ত-মধ্যযুগে কিছু উল্লেখনীয় ব্যক্তিগত পুথিশালাও গড়ে উঠেছিল।