সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

ইতিহাস কথা

রঞ্জনদার কাছে একবার একটা পাথর নিয়ে গিয়েছিলাম, যেটাকে দেখে আমার ফসিল মনে হয়েছিল। পাথর হলেও অনেকটা গাছের কাণ্ডের মতো দেখতে। মনে হয়েছিল যে প্রস্তরীভূত গাছ (Petrified Wood) হয়তো হবে, কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দাদা বলল যে, ওটা কোন ফসিলই নয়, সাধারণ পাথর। অনেক পাথরের বাইরের দিকটা বিভিন্ন কারণে এবড়ো খেবড়ো হয়ে যায়; আর তখন দেখলে মনে হয় যে, পাথরে পরিণত হওয়া গাছের কাণ্ড বুঝি। ওই পাথরটাও দেখতে অনেকটা সেই রকমই ছিল, কিন্তু জানতে পারলাম যে ওটা প্রস্তরীভূত গাছ নয়। আমার মনটা খারাপ দেখে রঞ্জনদা সান্তনা দিয়ে বলল, “ভাবিস না রে, কয়েকদিন পরেই আমি রাণীগঞ্জের কাছে ট্রান্সফার হয়ে আসছি। দেখা যাক, তোকে একটা গাছের ফসিল হয়তো জোগাড় করে দেওয়া যাবে।” তাও ভালো!
প্রিয় ইমতিয়াজ, আশাকরি তুমি ভাল আছো। তোমার চিঠির উত্তর দিতে এতোটা দেরি হয়ে গেল ব’লে আগেভাগেই তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে ই-মেল, হোয়াটস অ্যাপের যুগে চিঠি লেখার অভ্যেস বা চিঠি পাওয়ার মজা দুটোই তো নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সুদূর রাজশাহী থেকে তোমার ডাকটিকিট লাগানো হাতে লেখা চিঠিখানা যখন পেলাম, একটু অবাকই হয়েছিলাম। সত্যি বলতে কি, চিঠিটা খুলে পড়তে পড়তে বারে বারে ফিরে যাচ্ছিলাম ছোটবেলার সেই ডাকপিওনের দিনগুলোতে। নস্টালজিয়া যেন ঘিরে ধরছিল। তাই চিঠির মূল প্রতিপাদ্যতে মন না দিয়ে বাংলাদেশের ডাকটিকিট, সুন্দর খাম, হাতের লেখা ইত্যাদিতে বেশি মন দিয়ে ফেলছিলাম। যাইহোক, তোমার চিঠির বিষয়বস্তুতে ফিরে আসি।
"উস তরফ মত যাইয়ে, উধার সব বন্ধ হ্যায়"। গন্তব্যস্থলে যখন পৌঁছলাম তখন বিকেল ৫'টা বাজতে আর মিনিট দশ-পনেরো বাকি ছিল। আর যা দেখার জন্য আসা, তার ঝাঁপ পড়ে যাওয়ার কথা বিকেল ৫'টায়। অতএব, হাতে সময় ছিল না বললেই চলে। পার্কিং লটে গাড়ি পার্ক করতে করতেই দেখে নিয়েছিলাম যে পুরো জায়গাটা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা আর আকৃতিতে তা হল ইংরেজি বর্ণমালার 'এল' অক্ষরের মত। গাড়ি থেকে নেমে খেয়াল করলাম যে যে সেই 'এল'এর একটা বাহুতে লোকজন না থাকলেও, আর এক বাহুতে বেশ কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছে। কপাল ঠুকে সেদিকেই দিলাম হাঁটা যদি শেষ ৫-১০ মিনিটে কিছু দেখা যায় এই আশা নিয়ে। তখনই পিছন থেকে ভেসে এল অযাচিত উপদেশবাণী - "উস তরফ মত যাইয়ে, উধার সব বন্ধ হ্যায়"।