প্রত্নভূমি উয়ারী-বটেশ্বর
প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে উঠে আসে গঙ্গাঋদ্ধি সভ্যতার কথা। সেই সভ্যতার কেন্দ্র গঙ্গারাজ্যের সঠিক অবস্থান আজও নির্ণীত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার চন্দ্রকেতুগড় এবং বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থান দুটি এক্ষেত্রে খুব উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। গ্রিক দিগ্বিজয়ী আলেকজান্ডার পঞ্চনদ অঞ্চলের বিপাশা নদীর তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে গঙ্গাঋদ্ধি জাতি বা রাজ্যের শক্তিশালী সামরিক শক্তির কথা শুনে আর না এগিয়ে ফিরে যান। হয়তো আজকের উয়ারী-বটেশ্বরেই ছিল সেই গঙ্গাঋদ্ধি জাতি বা রাজ্যের রাজধানী। উয়ারী-বটেশ্বরের দ্বিস্তরবিশিষ্ট প্রতিরক্ষা প্রাচীর, সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত প্রাচীন বসতি, আড়াই হাজার বছর সময়কাল ও পূর্ব ভারতে এর ভৌগোলিক অবস্থান একে গঙ্গারিডি বা গঙ্গাঋদ্ধি বলে শনাক্ত করতে ভূমিকা রাখে।
খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগের কথা। মিশর দেশের বিখ্যাত বাণিজ্যকেন্দ্র আলেকজান্দ্রিয়া তখন রোমান শাসনাধীন। তখন নানা দেশের মানুষের ভিড় লেগে থাকত আলেকজান্দ্রিয়ার বন্দরে। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই বন্দর নগরী। এখানে বসে নানা দেশ থেকে আসা নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছ থেকে নানা রকম তথ্য সংগ্রহ এবং সমকালীন বিভিন্ন লিখিত সূত্র ব্যবহার করে বিখ্যাত গ্রিক ভূগোলবিদ, জ্যোতির্বিদ ও গণিতজ্ঞ টলেমি সেই অজ্ঞাত সময়ের জ্ঞাত পৃথিবীর নদী-নালা, পাহাড়-পর্বত, নগর, বাণিজ্যকেন্দ্র প্রভৃতির বিবরণ লিপিবদ্ধ করে ‘জিওগ্রাফিয়া’ নামক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। টলেমির গ্রন্থে উল্লিখিত অনেক স্থানই কালের গর্ভে হারিয়ে যায়। কিন্তু আধুনিক কালে প্রত্নতত্ত্বের সাহায্যে টলেমি বর্ণিত অনেক স্থান খুঁজে পাওয়া গেল। টলেমির গ্রন্থে গঙ্গাতীরবর্তী ‘সৌনাগড়া’ নামক একটি বাণিজ্য কেন্দ্রের উল্লেখ রয়েছে। এর বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রত্নতত্ত্বের প্রধান অধ্যাপক ড. দিলীপকুমার চক্রবর্তী প্রথম মত প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার শিবপুর ও বেলাব উপজেলায় অবস্থিত আজকের উয়ারী-বটেশ্বরই টলেমি উল্লিখিত প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্র সৌনাগড়া। ড. চক্রবর্তী তাঁর ‘প্রাচীন বাংলাদেশ’ গ্রন্থে লিখেছেন, “উয়ারী-বটেশ্বর কমপক্ষে বাইশ শত বছরের প্রাচীন। উয়ারী-বটেশ্বরে তৈরি হতো ক্রিস্টাল, আগেট, জেসপার, কার্নেলিয়ান, আমেথিস্ট পাথরের পুঁতি। উয়ারী-বটেশ্বরের সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল।”
১৯৩৩ সালের ডিসেম্বরে উয়ারী গ্রামে মাটি খননকালে শ্রমিকেরা একটি মৃৎপাত্রে সঞ্চিত কিছু রৌপ্যমুদ্রা পান। এর বেশিরভাগই স্থানীয় বেনেদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ হানীফ পাঠান সেখান থেকে ২০-৩০টি মুদ্রা সংগ্রহ করেন। তখন থেকেই উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহের সূচনা। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহে হানীফ পাঠানের গভীর আগ্রহ ছিল। তিনি ও তাঁর পুত্র হাবিবুল্লা পাঠান উয়ারী-বটেশ্বর ও আশপাশের গ্রাম থেকে ছোটো ছোটো পুঁতি, লৌহদণ্ড, লৌহকুঠার ও রৌপ্য মুদ্রা সংগ্রহ করতেন। পিতা-পুত্র এগুলোর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনুধাবন করে ব্যক্তিগত ভাবে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে থাকেন। মোহাম্মদ হানীফ পাঠান উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নভূমির আবিষ্কারক। তিনিই প্রথম এই স্থানের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনার কথা অনুধাবন করেছিলেন। তিনি তাঁর পুত্র হাবিবুল্লা পাঠানকে উয়ারী-বটেশ্বর গ্রামের কিংবদন্তিখ্যাত ‘অসম রাজার গড়’ এর কাহিনী শোনাতেন। শিক্ষক ও প্রত্ন সংগ্রাহক হাবিবুল্লা পাঠান আজও তাঁর পিতার মতোই উয়ারী-বটেশ্বরের ঐতিহ্য অনুসন্ধান ও তার সংরক্ষণ করে চলেছেন।
১৯৫৫ সালের ৩০শে জানুয়ারি ঢাকার তৎকালীন আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নানুসন্ধানী হানীফ পাঠানের ‘পূর্ব পাকিস্তানে প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতা’ নামক একটি নিবন্ধ। ১৩৫১ বঙ্গাব্দে আনন্দবাজার পত্রিকায় ঢাকা সংগ্রহালয়ের অধ্যক্ষ নলিনীকান্ত ভট্টশালীর উয়ারী-বটেশ্বর সম্পর্কে ‘লৌহিত্য পূর্ব্বখণ্ডের প্রত্নৈশ্বর্য্য’ শিরোনামে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ১৯৭৪ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ‘বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লিখতে হবে’ শীর্ষক প্রচ্ছদকাহিনি লেখেন। পিতার অনুকরণে পুত্র হাবিবুল্লা পাঠান উয়ারী-বটেশ্বরকে তীর্থস্থানের মতোই ভাবেন। এই স্থানের ইট, পাথর, পুঁতি, মুদ্রা, মৃৎপাত্রের ভাঙা টুকরো – সবই তিনি যত্ন সহকারে সংগ্রহ করেছেন। ১৯৭০ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ছোটো-বড়ো পত্র-পত্রিকায় উয়ারী-বটেশ্বর প্রত্নস্থানের কথা তিনি লিখে চলেছেন। ১৯৮০ সালে বিচিত্রায় তাঁর লেখা ‘উয়ারী-বটেশ্বরের ঐতিহাসিক নিদর্শন’ শিরোনামে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ১৯৮৪ সালে আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়ার ‘বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ’ গ্রন্থে উয়ারী-বটেশ্বরের কথা স্থান পায়। ১৯৮৯ সালে হাবিবুল্লা পাঠানের ‘প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন: উয়ারী-বটেশ্বর’ গ্রন্থ প্রকাশিত হলে গবেষক মহলে তা নতুন করে আলোচিত হয়। ১৯৮৮ অধ্যাপক ড. দিলীপকুমার চক্রবতী উয়ারী-বটেশ্বর পরিদর্শনে আসেন।
প্রাচীন গ্রিক ও লাতিন বিবরণে ‘গঙ্গাঋদ্ধি’ নামে ভারতবর্ষের একটি জনগোষ্ঠী বা দেশের নাম পাওয়া যায়। গঙ্গারিডাই, গঙ্গারিডেই, গঙ্গারিদুম, গঙ্গারাইডেস শব্দগুলো এর নানান রূপভেদ। ভাষাবিদ ড. এনামুল হকের মতে, গঙ্গার সমৃদ্ধি অর্থে গঙ্গাঋদ্ধি শব্দটির উৎপত্তি। কার্তিয়াস, ডিয়োডোরাস, প্লুতার্ক প্রমুখ গ্রিক লেখকদের ইতিবৃত্তে, স্ট্রাবো ও টলেমির ভূগোলবৃত্তান্তে এবং ভার্জিলের মহাকাব্যে গঙ্গাঋদ্ধি ভাস্বর হয়ে আছে। কিন্তু কোথায় এই গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্য, যার রাজধানী বন্দর নগর গাঙ্গে? অনুমিত হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের চন্দ্রকেতুগড় থেকে বাংলাদেশের উয়ারী-বটেশ্বর এর মধ্যবর্তী ভূখণ্ডে অবস্থিত ছিল গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্য। সম্ভবত উয়ারী-বটেশ্বর ছিল গঙ্গাঋদ্ধির রাজধানী প্রাচীন গাঙ্গে নগর! গাঙ্গে এর অবস্থান নির্ণয়ের জন্য চন্দ্রকেতুগড় ও উয়ারী-বটেশ্বরে ব্যাপক আকারে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের প্রয়োজন। আপাতত উয়ারী-বটেশ্বর এর একটি উজ্জ্বল সম্ভাবনা মাত্র। উল্লেখ্য যে, চন্দ্রকেতুগড় ও উয়ারী-বটেশ্বর প্রায় সমসাময়িক নগর ছিল। আড়াই হাজার বছর এদের ঐতিহাসিক কাল।
হেরোডোটাস বর্ণিত গাঙ্গে কিংবা টলেমির সৌনাগড়া; যাইহোক না কেন উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি দুর্গ নগর। একদিকে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিন দিকে প্রাকার-পরিখা বেষ্টিত উয়ারী-বটেশ্বর ছিল সুরক্ষিত নৌ বন্দর নগরী। বহির্বাণিজ্যেই এর সমৃদ্ধি। মসলিন, হাতির দাঁত, ধাতব ও মৃৎপাত্রের সামগ্রী, পুঁতি, পাথর ও রৌপ্য অলঙ্কার ছিল এর মূল বাণিজ্য উপকরণ।
উত্তর ভারতের কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্রের অবশেষ উয়ারী-বটেশ্বরে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া গেছে। এ থেকে অনুমিত হয় উয়ারী-বটেশ্বর ষোড়শ মহাজনপদের সমকালীন। এছাড়া এখানে পাওয়া মৌর্য যুগের রৌপ্য মুদ্রার প্রাপ্তির পরিমাণ দেখে অনুমিত হয়, মৌর্য যুগেও এর সমৃদ্ধি অটুট ছিল। উয়ারী-বটেশ্বরে পাল ও সেন যুগের কোনও প্রত্নাবশেষ এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কার্বন-১৪ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, উয়ারী-বটেশ্বর প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন। এর পূর্বেও এখানে মানব বসতি ছিল। সম্ভবত গ্রামীণ অঞ্চল থেকে বাণিজ্যের সমৃদ্ধির পথ ধরে উয়ারী-বটেশ্বর নৌ বন্দর কেন্দ্রিক দুর্গ নগরীতে পরিণত হয়েছিল।
উয়ারী-বটেশ্বর ও আশপাশের আজকিতলা, রাজাবাড়ী, বেলাব, কামারটেক, কামরাব প্রভৃতি অঞ্চল থেকে মাটির উপরিভাগে এবং উৎখননের ফলে যেসব প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে তা থেকে অনুমিত হয়, বৌদ্ধ ও শৈব ধর্মমত এখানকার অধিবাসীদের আচরণীয় ধর্ম ছিল। এখানে পাওয়া একটি ব্রোঞ্জ নৈবেদ্য পাত্রে নব (বৌদ্ধ), শিব-বৃষ ও গণেশ উৎকীর্ণ থাকায় উয়ারী-বটেশ্বরে শৈবধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের পারস্পরিক সহাবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
প্রচুর পরিমাণে মৃৎপাত্র ও টেরাকোটার সামগ্রী উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীনত্বের ইঙ্গিতবাহী। পোড়ামাটির তৈজসপত্র, মূর্তি, খেলনার কারুকার্য তৎকালীন মৃৎ শিল্পের সমৃদ্ধির পরিচায়ক। পুঁতির অলঙ্কার ও ধাতব দ্রব্যাদি উয়ারী-বটেশ্বরের অধিবাসীদের শৈল্পিক রুচির স্বাক্ষর বহন করে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বহু বছর ধরে উয়ারী-বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। বহুদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের পন্ডিত মহলের একটি বড় অংশ উয়ারী-বটেশ্বর সম্পর্কে ড. রহমানের দাবিকে অগ্রাহ্য করে এসেছেন। যদিও আজ প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের মাধ্যমে উয়ারী-বটেশ্বরের প্রাচীনত্ব স্বীকৃত হয়েছে। ড. রহমানের মতে, “উয়ারী-বটেশ্বর ছিল লোহিত্য জনপদ! উয়ারী-বটেশ্বর দুর্গ নগর ছিল সেই জনপদের রাজধানী। উয়ারী-বটেশ্বরে আবিস্কৃত বহুসংখ্যক ছাপাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রা এবং নয়নাভিরাম বাটখারা সমৃদ্ধ বাণিজ্যের পরিচায়ক। উয়ারী-বটেশ্বর ছিল একটি নদীবন্দর। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল উয়ারী-বটেশ্বর।…….. বিশ্ববিখ্যাত সিল্করুটের সঙ্গে উয়ারী-বটেশ্বর যুক্ত ছিল।”
অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এবং স্বাধীন প্রত্নতাত্ত্বিক মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানের প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন ও অনুসন্ধানের ফলে উয়ারী-বটেশ্বরের অনেক অজানা রহস্য উদঘাটন হলেও এখনো অনেক পথ চলা বাকি। আরো ব্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণার প্রয়োজন এর সম্পূর্ণ রহস্য উন্মোচনে। ১৯৯৬ সাল থেকে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান শুরু হলেও উৎখনন শুরু হয় ২০০০ সালে। সেই থেকে ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ১১ দফা উৎখনন কার্য পরিচালিত হয়েছে। জানুয়ারি ২০১২ তে ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান ও মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানের যৌথভাবে লেখা গ্রন্থ ‘উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধানে’ প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি বাংলাদেশের পুরাতত্ত্ব চর্চার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলা যায়।
ব্রহ্মপুত্র নদ ও বাণিজ্য ছিল উয়ারী-বটেশ্বর এর সমৃদ্ধির কারণ। এখন প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন ও গবেষণার মাধ্যমে কালের কৃষ্ণ যবনিকা উত্তোলিত হলে জানা যাবে, উয়ারী-বটেশ্বর আসলে কি ছিল? গাঙ্গে নাকি সৌনাগড়া? অথবা সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু!
তথ্যসূত্র:
১. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মদ হাবিবুল্লা পাঠান, ‘উয়ারী-বটেশ্বর: শেকড়ের সন্ধানে’; প্রথমা প্রকাশন, প্রথম প্রকাশ: ২০১২, ষষ্ঠ সংস্করণ, পুনর্মুদ্রণ: ২০১৭।
২. ড. আব্দুল মমিন চৌধুরী, ‘প্রাচীন বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি’; মাওলা ব্রাদার্স, তৃতীয় সংস্করণ ২০১৭।
৩. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ‘সাক্ষাৎকার: বিশ্ববিখ্যাত সিল্করুটের সঙ্গে উয়ারী-বটেশ্বর যুক্ত ছিল’; প্রথম আলো, ৪ নভেম্বর ২০১৭।
৪. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, ‘উয়ারী-বটেশ্বর : শেকড়ের সন্ধানে’; প্রতিদিনের বাংলাদেশ, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩।
৫. দিলীপকুমার মৈতে, ‘চন্দ্রকেতুগড়’; প্রকাশিকা: শিবাণী মৈতে, তৃতীয় প্রকাশ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
ভালো লাগলো। বেশ শৃঙ্খলাবদ্ধ লেখা। তবে বিভিন্ন ভাবে ঐ গংগা রিডি নগর সভ্যতার সঠিক অবস্থান আবিষ্কার এর চেষ্টা চলছে।
সুন্দর বনের মধ্যে ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোন একটি নির্দিষ্ট অংশে কোন কোন গবেষক মনে করছেন এর অবস্থান ছিল। কিন্তু কিছু ই প্রমানিত হয় নি।
ধন্যবাদ।
খুব সুশৃঙ্খল ভাবে বিবরণ টি বিবৃত হয়েছে ।চন্দ্র কেতুগড়ের খনন আর এগোয় নি।যেখানে ছিল সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে ।দরকার ছিল আরো অনুসন্ধান ।
ধন্যবাদ।
সুশৃংখলভাবে লিখিত গবেষণাধর্মী এই লেখাটি ওয়ারী বটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাস আগ্রহী পাঠকদের চাহিদা পূরণ করবে। অপেক্ষায় রইলাম ওয়ালী বটেশ্বর এর চূড়ান্ত ফলাফল জানার জন্য। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
সুন্দর লেখা। উয়ারী বটেশ্বর একবার গিয়েছিলাম। কাছকাছি গ্রামেই মহম্মদ হাবিবুল্লা পাঠানের সঙ্গে দেখা করার এবং ওনার সংগ্রহশালা টি দেখবার সৌভাগ্য হয়েছিলো। কিন্তু যে কৌতূহল টা সেইদিনও মেটেনি, আপনার এই সুন্দর লেখা টিতেও উল্লেখ পেলাম না, সেটি হলো… ওয়ারী বটেশ্বরের গর্ত বাড়ি(pit-dwelling complex)। ওখানে একটি গর্ত কূপও দেখেছিলাম।