সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

সাগরবুকে চা-দৌড় বা টি-রেস

সাগরবুকে চা-দৌড় বা টি-রেস

কাবেরী চ্যাটার্জী রায়

মার্চ ১৬, ২০২৪ ২৭৭ 16

অফিস বাড়িটা সমুদ্রের ধারে। সেই  বাড়ির মাথায় লাগানো হাওয়া মোরগের দিকে গত কয়েকদিন ধরেই কড়া নজর সবার। পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশ ঘুরে, প্রায় ষোলো হাজার মাইল পেরিয়ে, সুদূর প্রাচ্যের চীন দেশের ফুচাও বা ক্যান্টন বন্দর থেকে দুষ্প্রাপ্য সুগন্ধি চা-বাহী জাহাজগুলো কবে নাগাদ বন্দরে ঢুকবে তার ইঙ্গিত দেবে ওই হাওয়া মোরগ। সে নট নড়ন চড়ন হয়ে গম্ভীর হয়ে থাকলেই লন্ডন শহরের জাহাজ মালিক থেকে চায়ের দোকানী, জাহাজীবাবু থেকে চায়ের দালাল; সবার মুখ গম্ভীর, ভুরুতে ভাঁজ… হাওয়া তার মানে পড়তি। কিন্তু মোরগের মুখ যদি তিরতির করে ঘুরে যায় দক্ষিণ পশ্চিমে? তাহলে হাহাকার! সমুদ্দুর পেরিয়ে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে চা নিয়ে জাহাজগুলোর পৌঁছনো তার মানে পিছিয়ে গেল আবার! কী যে হবে! দুষ্প্রাপ্য এই পাতাগুলোর স্বাদ-গন্ধ-গুণ-মান ঠিক থাকবে তো? 

কিন্তু যে মুহূর্তে, তা রাতের মধ্য যামই হয় যদি বা, হাওয়ার কাঁটা মুখ ঘোরায় উত্তর-পূর্বে, চারদিকময় হৈ-চৈ শুরু হয়ে যায়! আসছে! আসছে সেই বহু প্রতীক্ষিত জাহাজেরা! হয়তো আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দেখা মিলবে তার! দৌড়, দৌড়! ঘোড়ার পিঠে চড়ে খবর দৌড় লাগাল জাহাজ মালিকের কাছে। ‘বুকি’রাও ভারি উত্তেজিত!  অনেক টাকা আর অনেকগুলো মানুষের ভাগ্যের সন্ধান দেখাচ্ছে যে ওই তীর! চা-দৌড় বা টি-রেস এই বছর কে জিতবে তা ঠিক হয়ে যাবে আর খানিকক্ষণের মধ্যেই। জাহাজগুলো লন্ডন বন্দরে এসে পৌঁছানো মাত্র!

কিন্তু, টি-রেস?

সে আবার কী? এই রকম কোনো রেসের সন্ধান তো আমাদের তেমন জানা নেই! 

সত্যি বলতে, থাকবার কথাও নয়। সেই সময়কাল, সেই মানুষজন, সেই পরিস্থিতি সবই বহুদিন; মানে প্রায় দুশোটা বছর পেরিয়ে চলে এসেছে পৃথিবী। সে জন্যেই তো ডার্বি রেসের মতো দাঁতে দাঁত চাপা অ্যাড্রিনালিন ঝরানো এই রেসের কথা মানুষের মন থেকে মুছে গিয়ে জায়গা নিয়েছে ইতিহাসের পাতার অনেক নিচে। 

আজ তাই ভাবতেও অবাক লাগে পৃথিবীর এক প্রান্তের ফুচাও বা ক্যান্টন বন্দর থেকে হাজার হাজার মাইল সমুদ্র, ঝড়, ঝঞ্ঝা পেরিয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের লন্ডনে পৌঁছানোর জন্য বিশাল বিশাল পালতোলা জাহাজগুলোর জান-প্রাণ-মান লড়িয়ে দেওয়া জাহাজী প্রতিযোগিতার কথা। সময়টা ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি। সুয়েজ ক্যানেল তখনও দূর স্বপ্ন, বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের জাহাজও তখন আসেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউরোপ, বা বলা চলে পশ্চিম গোলার্ধের প্রায় সব দেশের মানুষ ততদিনে চা গাছের পাতার স্বাদে মাতোয়ারা। যদিও তখনও সেই চা সারা পৃথিবীতে রপ্তানী হয় কেবলমাত্র  সুদূর প্রাচ্যের রহস্যে মোড়া চীন দেশ থেকে।  

আজকের দিনে ‘চা’ শব্দটা আমাদের মাথায় ‘দার্জিলিং’, ‘আসাম’, ‘নীলগিরি’, ‘শ্রীলঙ্কা’  ইত্যাদি শব্দের চটজলদি আমদানী করলেও মাত্র শ’দুয়েক বছর আগের ঊনবিংশ শতাব্দীর দিকে তাকালে দেখা যায়, ইউরোপের বাসিন্দাদের তখনও  চা-উৎপাদন নিয়ে বিশেষ কিছুই জানা নেই। চা গাছ চাষ করা, চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে সেই পাতা থেকে চা উৎপাদন করা, এমনকি সঠিক চা প্যাকিং পদ্ধতির কিছুই সাগর পেরিয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েনি যেমন; তেমন বিশ্বের বাজারে ভারতবর্ষের চায়ের গর্বিত পদক্ষেপ ঘটতেও দেরী আছে আরও কিছু দিন। অথচ চায়ের নেশা ততদিনে মজিয়ে ফেলেছে পশ্চিমি দুনিয়াকে। মহামান্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্য আর বিজ্ঞাপনের হাত ধরে ব্রিটেন তার গায়ে এঁটে নিয়েছে ‘টি ড্রিংকিং নেশনের’ তকমা। জনতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে, জাহাজ ভরে ভরে চা এসে হাজির হচ্ছে ব্রিটেনে। তবে চা পাতার যোগান আর দামের সমীকরণে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত ছিল চা-পাতার উৎকর্ষের বিষয়টিও। আর ঠিক সেই কারণেই অর্থাৎ চা পাতা উৎপাদনের পর দ্রুততম সময়ে দীর্ঘ সমুদ্রপথ পেরিয়ে লন্ডনে পৌঁছে সেই পাতা থেকে প্রস্তুত সর্বোত্তম স্বাদ ও গন্ধের পানীয় মানুষের কাপে ঢেলে দেওয়ার জন্য অপরিহার্য্য হয়ে পড়েছিল টি রেস। 

বিশাল বিশাল সাদা ক্যানভাসের পাল তোলা রাজহংসী জাহাজগুলোর মধ্যে সাগর পেরিয়ে, হাজার হাজার নটিকাল মাইল পেরিয়ে, সমুদ্র ঝড় পেরিয়ে সে এক হৈ-হৈ দৌড়! চীন থেকে রওনা দিয়ে, ভারত মহাসাগর পেরিয়ে, আফ্রিকার নিচে কেপ অফ গুড হোপ-এর ওপাড়ে অতলান্তিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে, ইংলিশ চ্যানেলের ভেতর দিয়ে অবশেষে লন্ডন! ( সুয়েজ ক্যানেল খোলা হয়ে যাবার পরে অবশ্য এই দূরত্ব কমে যাবে বিস্তর আর ততদিনে ইউরোপের সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো চা উৎপাদন আর রপ্তানি বাণিজ্যে নেমে পড়বে হৈ হৈ করে।) যে জাহাজ যত আগে আসবে বন্দরে, তার আনা চা দামের দিক থেকে ততটাই এগিয়ে। মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে পৌঁছানো জাহাজের চা তাই পরবর্তী জাহাজগুলোয় আসা চায়ের তুলনায় ঢের দামী। কারণ পরের জাহাজগুলোর চা ডকে নামার আগেই প্রথম জাহাজের চা টি ক্লার্কদের পরীক্ষার কড়া হাত পেরিয়ে বড়ো বড়ো চা নিলামের আসরে চলে গেছে। সেখান থেকে শিগগিরই সেই চা ছড়িয়ে যাবে লন্ডন সহ গ্রেট ব্রিটেনের দোকানে দোকানে।  

বিশাল এই সমুদ্র পথ পাড়ি দিত জাহাজগুলো

আসলে প্রথম ওপিয়াম যুদ্ধের পরে ১৮৪২-এর নানকিং চুক্তি পশ্চিমী দেশগুলোর সামনে খুলে দিয়েছিল চীনের চারটি বন্দরের দরজা- আময়, ফুচাও, নিংপো আর সাংহাই। ক্যান্টনে আগে থাকতেই পশ্চিমী দেশগুলোর আস্তানা ছিল। মশলা সমেত প্রাচ্য চীন থেকে আগত অন্যান্য পণ্যের তুলনায় ব্রিটেনবাসীর রসনায় ততদিনে পয়লা নম্বর জায়গা করে নিয়েছে চা নামক পানীয়টি। সে দেশের বাজারে চায়ের ঊর্ধ্বমুখী চাহিদাকে পূরণ করার জন্যেই প্রয়োজন হয়েছিল এই জাহাজী চা-দৌড় বা টি-রেসের।   

এখানে খেয়াল করতে হবে যে, এই সময়ের বহু বহু আগে থেকেই প্রাচ্যের সিল্ক, পোর্সেলিন, বহুমূল্য দারচিনি, জায়ফল, জয়িত্রী, গোলমরিচ ইত্যাদি মশলাপাতি, বহুমূল্য রত্ন এবং আরও নানা রকমের সামগ্রী নিয়মিত পৌঁছাচ্ছে পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বন্দরে। কিন্তু, চা-ই ছিল জনপ্রিয়তম একমাত্র সামগ্রী যার জন্যে চায়ের মরশুমে জাহাজের পর জাহাজ এসে ভিড় করতো চীনের ফুচাও, ক্যান্টন ইত্যাদি বন্দরে। এই জাহাজের নাবিকদের লক্ষ্য ছিল মরশুমের প্রথম এবং সেরা চা জাহাজ বিপুল পরিমাণে বোঝাই করে নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিশাল এবং বিপদসংকুল মহাজলপথ পার হয়ে লন্ডনে ফিরে যাওয়া। তবে আগে বেরলেই তো হবে না, কারণ জাহাজের পাল আর বাতাসের গতিপথের সঙ্গে সমুদ্র স্রোতের সমীকরণ মিশিয়ে এই ষোলো হাজার মাইল সমুদ্রপথ যে যত দ্রুত পার করতে পারবে, তত বেশি রোজগারের আশীর্বাদ জুটবে তার কপালে। প্রতি বছর যে জাহাজটি প্রথম বন্দরে ভিড়ত, সে তার বয়ে আনা সামগ্রীর দামের ওপর পুরস্কার লাভ করত মোট পণ্য মূল্যের দশ শতাংশ। সেকালের হিসেবে কিন্তু নেহাত কম নয় সেই মূল্য! মোটা অর্থলাভ ব্যতীত জেতার বাহাদুরি আর প্রতিযোগিতার উন্মাদনাও প্রাণিত করত এই টি রেসের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত জাহাজ মালিক, নাবিক আর চা ব্যবসায়ীকে।

শুধুমাত্র জাহাজ কিংবা চা-ব্যবসার সাথে জড়িত মানুষজনই নয়, সে সময় ব্রিটেনের ঘরে ঘরে, সরাইখানায়, আগুনের ধারের আড্ডায় সর্বত্র আলোচনা চলত টি রেস নিয়ে। জুয়াড়ি বুকিরা মহাব্যস্ত থাকত এই জাহাজ দৌড়ের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে। চলত জোরালো বাজি ধরাও। জাহাজগুলির যাত্রাপথের বিভিন্ন লাইটহাউস আর বন্দর থেকে টেলিগ্রাফ মারফৎ নিয়মিত সংবাদ আসত লয়েডসের অফিসে। সংবাদ মাধ্যম সেখান থেকে খবর সংগ্রহ করে ‘টাইমস’ বা ‘পল মল গেজেট’-এর মতো পত্রিকার জাহাজী খবরের পাতায় তা তুলে ধরা হতো জনগণের জন্যে।  

রেকর্ড অনুযায়ী শুধুমাত্র চা নিয়ে ব্রিটিশ অর্ণবপোতের এই সমুদ্র উড়ান শুরু ১৮৪০এর দশকে শুরু হলেও প্রথম রেস হয়েছিল ১৮৫৪ সাধারণ অব্দে। সেসময় প্রতিযোগী ছিল দুটি মাত্র জাহাজ; ক্রিসোলিট আর সেলেস্টিয়াল। ১৮৫৪ এর ১৪ই জুলাই পূর্ব চীন সমুদ্রের পাশে ফুচাও বন্দর থেকে ক্রিসোলিট আর হোআম্পয়া বন্দর থেকে সেলেস্টিয়াল তাদের সাগর দৌড় শুরু করেছিল। সুবিশাল এবং বিপদসংকুল জলপথে সামুদ্রিক ঝড় আর পাহাড় সমান ঢেউয়ের সঙ্গে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো ছিল হিংস্র জলদস্যুদলও। সেই সমস্ত বাধাবিপত্তি পার হয়ে মাত্র ১০৮ দিনের মাথায় , ক্রিসোলিট তার প্রতিযোগীর থেকে মাত্র এক দিন আগে এসে ভিড়েছিল লন্ডন বন্দরে আর প্রথমবারের জন্য পুরস্কার হিসেবে চায়ের টন প্রতি দশ শিলিং লাভ করেছিলেন বিজেতা  জাহাজের মালিক। তবে সেই অর্থের ভাগ পেয়েছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন থেকে শুরু করে সাধারণ নাবিক অবধি সকলেই! সেই তখন থেকেই চীন থেকে ব্রিটেনে সর্বাধিক কম সময়ে চা পৌঁছে দিয়ে মোটা টাকা আর খ্যাতিলাভের ঝকমকে হাতছানিতে টি রেস বা সমুদ্রে জাহাজের দৌড় হয়ে উঠতে শুরু করেছিল আরও আরও উত্তেজক আর প্রতিযোগিতাময়। ১৮৫৪তে শুরু হওয়ার পর আরও বেশ কিছু বছর এই হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা চলেছিল। তবে দৌড়গুলির মধ্যে সব থেকে বিখ্যাত আর বিতর্কিত ছিল ১৮৬৬ সাধারণ অব্দের রেসটি। সেই সমুদ্র দৌড়ের বিস্তারিত বিবরণ এবং কেন তা বিতর্কিত হয়ে উঠেছিল, সেই তথ্য আপনার কাছে নিয়ে আসব এই নিবন্ধের পরের পর্বটিতে। 

সূত্র সমূহ: 

i) All about Tea by William H.Ukers , vol.I , Chapter VII ( originally published in 1935 by The Tea and Coffee Trade Journal Company , New York , reprinted by Rio Akasaka, (2023 )

ii)  Wikipedia https://en.wikipedia.org/wiki/Tea_race_(competitions)#:~:text=In%20the%20middle%20third%20of%20the%2019th%20century%2C,were%20also%20known%20as%20the%20races%20from%20China.) 

iii) https://www.linkedin.com/pulse/clipper-ships-great-tea-race-1866-maureen-ryan 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর। বর্তমানে কলকাতা বন্দরে কর্মরত। ভালোবাসেন ইতিহাস, কবিতা এবং চা। এছাড়াও নিয়মিত গল্প-টী-খাসা নামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক কাপ চায়ের সঙ্গে, বাংলা গল্প পাঠ করে শোনান।

মন্তব্য তালিকা - “সাগরবুকে চা-দৌড় বা টি-রেস”

  1. দারুণ লাগলো। ইতিহাসের সেই দিন গুলিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। চা নিয়ে আরো জানার ইচ্ছে রইলো।
    বিশেষত, ভারত বর্ষে কি ভাবে চা আসলো। চীন থেকে লুকিয়ে, চুরি করে, জাহাজে চা গাছের চারা যে প্রথম Botanical Garden এ রাখা হয়ে।

    Wish you all the best.

  2. দারুণ লাগলো। চায়ের ইতিহাসের সেই দিনগুলোতে হারিয়ে গেছিলাম।
    এই বিষয়ে আরো লেখা পড়বার আগ্রহ রইলো। বিশেষত, কি ভাবে চীনের চা ভারতবর্ষে প্রবেশ করলো। শুনেছি সে নাকি অনেক কায়দা কৌশল আর চুরি করে হয়েছিল। প্রথম চা চারা জাহাজে এসে Botanical Gardens এ রাখা হিরেছিল।

  3. দারুন, অসাধারণ, খুবই তথ্যসমৃদ্ধ, চা নিয়ে যে এত চুলোচুলি তা জানতামই না, খুব ভালো লাগলো, পরের পর্বের আশায় থাকলাম। আরো এইরকম তথ্যনির্ভর রচনার অপেক্ষায় রইলাম, বিশেষত ভারতে চায়ের আগমন, তার আধুনিকীকরণ, ইংরাজ বণিকদের হস্তক্ষেপ আর কফির সঙ্গে এর কোনো বিবাদ ঘটে থাকলে তা কেমন এবং তার বর্তমান অবস্থা সন্মধ্যে।
    ধন্যবাদ ম্যাডাম, দারুন লেখা।

  4. লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে। তখনকার দিনে যাতায়াতের মাধ্যম ছিল জলপথে – জাহাজে করে। প্রাণ হাতে করে এই আগে পৌঁছোনোর রেস চলতো। ভাবতেও অবাক লাগে।

  5. খুব খুব কৌতুহলোদ্দীপক ও সাবলীল লেখা । এসব তথ্য জানাই ছিলো না । অনেক আগ্রহ নিয়ে পরের লেখাটার অপেক্ষা করবে ।

  6. কত অজানা তথ্য জানতে পারলাম। খুব ভালো লাগলো। এখন চা বলতে এদিক কার লোকে English breakfast tea বোঝে। এইসব তথ্য জানা থাকলে আমরাও বলতে পারব।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।