সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

হকিং ইন্ডেক্স : অপঠিত ব্লকবাস্টার

হকিং ইন্ডেক্স : অপঠিত ব্লকবাস্টার

সহস্রলোচন শর্মা

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ ২৮৭ 11

এবারের বইমেলা থেকে কটা বই কিনলেন? অনেকগুলো? বাহ্‌, বেশ কথা। তা বই তো অনেক কেনা হল। কিন্তু যতগুলো বই কিনলেন তার সবকটা কি পড়ে উঠতে পারবেন? আচ্ছা, এমন বই কি কখনও কিনেছেন, কেনার পর থেকে বইটা তেমন ভাবে পড়ে উঠতে পারেনি নি, কিম্বা ওই দুএক পাতার বেশি উলটে দেখেন নি? আচ্ছাআআ, এই মুহুর্তে তেমন কোনও বইয়ের নাম মনে পড়ছে না? কুছ পরোয়া নেহি। এসে গেছে হকিং ইন্ডেক্স। এই ইন্ডেক্সই বলে দেবে কেনা সত্ত্বেও কোন বইটা সব থেকে কম পড়েছেন পাঠক। কোন বহুল বিক্রীত বই সে ভাবে পাতা উলটেও দেখেন নি পাঠক? হকিং ইন্ডেক্স! সেটা আবার কী? কীভাবে সে টের পাবে পাঠকের মনের কথা? আসুন, জেনে নেওয়া হকিং ইন্ডেক্সের কর্ম পদ্ধতি। জেনে নেওয়া যাক, তার জন্ম বৃত্তান্ত, তার ইতিহাস।

।। ।।

বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবথেকে দুর্বোধ্য অথচ সবথেকে জনপ্রিয় বিষয় বোধহয়- ব্ল্যাক হোল। বিজ্ঞানের ছাত্র হোন বা না হোন, ব্ল্যাক হোল নিয়ে আগ্রহ নেই এমন পাঠক কমই আছেন। তাত্ত্বিকভাবে ব্ল্যাক হোলের স্রষ্টা হলেন আইনস্টাইন। ২৫ নভেম্বর ১৯১৫ সালে প্রকাশিত জেনারেল রিলেটিভিটি সংক্রান্ত আইনস্টাইনের বিখ্যাত নিবন্ধ ‘দ্য ফিল্ড ইকুয়েশন অব গ্র্যাভিটেশন’। এই ইকুয়েশন থেকেই গাণিতিক রূপ পরিগ্রহ করে ‘ব্ল্যাক হোল’। ১৯৩১ সালে ‘বিগ ব্যাং’ তত্ত্বকে সামনে আনেন বেলজিয়ামের পদার্থবিদ পাদ্রি জর্জে লিমাত্রে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে ব্ল্যাক হোল ও বিগ ব্যাঙ নিয়ে আগ্রহ বাড়তে থাকে জনমানসে। ৬০-এর দশকের শেষ দিকে ‘বিগ ব্যাং’ আর ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে আমজনতার আগ্রহ ঊর্ধ্বমুখ ধারণ করে। আর এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারের মধ্যেই একে একে প্রকাশিত হতে থাকে ‘বিগ ব্যাং’ আর ‘ব্ল্যাক হোল’ নিয়ে স্টিফেন হকিং-এর নানান প্রবন্ধ, যেখানে তিনি ‘বিগ ব্যাং’, ‘ব্ল্যাক হোল’, প্রসারমান বিশ্ব প্রভৃতি তত্ত্বকে অধিক যুক্তিগ্রাহ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে থাকেন। ১৯৭৪ সালে ‘ব্ল্যাক হোল রেডিয়েশন তত্ত্ব’-এর কথা গাণিতিক ভাবে ব্যাখ্যা করেন তিনি। এরপর থেকেই প্রায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায় হকিং-এর জনপ্রিয়তা। জীবন্ত কিংবদন্তিতে পরিণত হন তিনি।

দেখুন বাঁ দিকের ছবির উপরে লেখা আছে, ‘দ্য রেকর্ড ব্রেকিং বেস্টসেলার

আচ্ছা, ঠিক এই মুহূর্তে যদি হকিং-এর লেখা একটা বইয়ের নাম বলতে বলা হয় আপনাকে, তাহলে কোন নামটা বলবেন আপনি? ঠিক এই মুহূর্তে কোনও নাম মনে পড়ছে না আপনার? কুছ পরোয়া নেহি, লাইফ লাইন আছে আপনার জন্য। চট করে নেট ঘেঁটে দেখে নিতে পারেন। তবে নেট ঘাঁটুন বা না ঘাঁটুন; উত্তর কিন্তু আসবে একটাই; ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম : ফ্রম দ্য বিগ ব্যাঙ টু ব্ল্যাক হোলস’। ১ সেপ্টেম্বর ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় এই বইটা। প্রকাশের পর থেকেই মার কাটারি বিক্রি হতে থাকে বইটা। মার্কিন মুলুকে টানা ১৪৭ সপ্তাহ ধরে এবং ইংলন্ডে টানা ২৩৭ সপ্তাহ ধরে বেস্টসেলার তকমা জিতে নেয় ব্রিফ হিস্ট্রি। সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রীত বিজ্ঞানভিত্তিক বই হিসেবে ১৯৯৮ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ নামে উঠে যায় বইটার। নিজের লেখা বইয়ের এই বিপুল বিক্রি দেখে বিস্মিত হন স্বয়ং হকিংও। তবে তাঁর বিস্ময়ের বোধহয় আরও কিছু বাকি ছিল তখনও। সর্বাধিক বিক্রির পাশাপাশি আরও একটা রেকর্ড তৈরি করে ফেলে হকিং-এর লেখা এই বইটা। যতদিন গেছে দেখা গেছে বিপুল হারে বিক্রীত এই বইটা কিন্তু খুব কম সংখ্যক পাঠকই পড়েছেন। অর্থাৎ, আগ্রহের বশে বইটা কিনেছেন ফেলেছেন অনেকেই কিন্তু বইটা পড়েন নি প্রায় কেউই। পুরো বইটার কথা বাদই দিলাম, অর্ধেক বইটা পড়েছেন এমন পাঠকও কম। অবাক করা এই তথ্য কিন্তু অজানা ছিল না হকিং-এরও। অনুজ প্রতীম বন্ধু মার্কিন পদার্থবিদ লিওনার্দ ম্লোদিনাও-কে তিনি বলেছিলেন,”… the book ‘Brief History of Time’ was probably the least-read, most-bought book ever”। এমন বিস্ময়কর এক ঘটনাকে সহজভাবেই মেনে নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে এই বিষয়ে মজা করে তিনি লিখেছিলেন, অন্তত বইটা জনসাধারণের মনে এই অনুভব জাগাবে যে বৌদ্ধিক ও দার্শনিক প্রশ্ন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত নন তাঁরা।

।। ।।

১৯৮৭ সালে এবং ১৯৮৯ সালে দুবার ইন্টারন্যাশনাল ম্যাথস অলিম্পিয়াডসে স্বর্ণ পদক লাভ করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ইউএসএর মেরিল্যান্ড প্রদেশের কিশোর জর্ডন স্টুয়ার্ট এলেনবার্গ ( জন্ম ১৯৭১)। মাঝে ১৯৮৮ সালের ওলিম্পিয়াডসে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-ম্যাডিসন-এ যোগদান করেন এলেনবার্গ। অধ্যাপনার পাশাপাশি মৌলিক গাণিতিক সমস্যার সমাধান, বিভিন্ন পুস্তক রচনা আর প্রবন্ধ রচনাতেও পারদর্শীতা দেখাতে থাকেন তিনি। জুলাই ২০১৪ সালে বাণিজ্য বিষয়ক মার্কিন পত্রিকা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ এর একটা ব্লগে ‘দ্য সামারস মোস্ট আনরেড বুক ইজ ..’ শীর্ষক নিবন্ধে এক নতুন, মজাদার ও বিতর্কিত ভাবনা উপস্থাপন করেন এলেনবার্গ। তাঁর ভাবনার মূল বিষয় ছিল- জনপ্রিয়তম অপঠিত বই। মানুষের চরিত্রের এক বিশেষ দিক হলো- হুজুগ! হুজুগে পড়ে অনেকেই একটা বই হয়ত কিনে ফেললেন, পরে দেখা গেল বইটা আদৌ সেভাবে পড়ে উঠতে পারেন নি তিনি। ঠিক এই বিষয়টাই ভাবিয়ে তোলে এলেনবার্গকে। তিনি দেখেন তুমুল জনপ্রিয় বেশ কিছু বই রয়েছে বাজারে, যেগুলোর শেষ পাতা পর্যন্ত পড়ে দেখেন নি অনেকেই। অনেকেই আবার মাঝপথেই ইতি টেনেছেন পড়ার। কেউবা পড়েছেন বড়জোর দু’চার পাতা। এই সমস্ত বইগুলোকে চিহ্নিত করে ক্রমানুযায়ী সাজানোর কথা ভাবলেন তিনি। সেই সমস্ত বইয়ের ক্রম নির্ধারণের জন্য একটা নতুন এককের কথাও ভাবলেন তিনি। ওই নিবন্ধের শিরোনামের ঠিক নিচে ছোট হরফে সাব-হেডিং-এ তিনি লেখেন, “A simple index drawn from e-books shows which best sellers are going unread”। অর্থাৎ, তাঁর নিবন্ধের সার কথা হলো, বেস্টসেলার তকমাধারী কোন কোন বই সব থেকে কম পড়েছেন পাঠক।

পাঠক কি জনপ্রিয়তম অথচ সর্বাধিক অপঠিত কোনও বইয়ের নাম স্মরণ করতে পারছেন? হ্যাঁ, একদম ঠিক ধরেছেন। স্টিফেন হকিং-এর ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম’ই হল এপর্যন্ত জনপ্রিয়তম অপঠিত বই। আর এই তথ্য বিলক্ষণ জানতেন এলেনবার্গেরও। তাই জনপ্রিয়তম অপঠিত বইয়ের তালিকা প্রনয়ন করতে গিয়ে তিনি ব্যবহার করলেন এক নতুন একক- হকিং ইন্ডেক্স বা হকিং ক্রম। ওই ব্লগে তিনি লেখেন, “The classic of this genre is Stephen Hawking’s “A Brief History of Time,” widely called “the most unread book of all time.” …”। তাঁর ভাবনার আদর্শ বা ধ্রুপদী উদাহরণ হল ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম। সেই সূত্রেই তিনি জন্ম দিলেন নতুন এক এককের; যার নাম হকিং ইন্ডেক্স।

জনপ্রিয়তম অপঠিত গ্রন্থ নির্বাচনের প্রশ্নে এলেনবার্গ সম্পূর্ণ ভাবে ই-বুক বা কিন্ডলের উপর নির্ভর করেছেন। আমাদের নিশ্চয় জানা আছে যে, কোনও দর্শক ফেসবুক বা ইউটিউবের কোন্‌ পেজ কতক্ষণ ধরে দেখেন তা নথিভুক্ত হয়ে যায়। এই ভিউয়ারশিপের ভিত্তিতেই সেই পেজের জনপ্রিয়তা নির্ধারণ হয়ে থাকে। একই ঘটনা ঘটে কিন্ডলের ক্ষেত্রেও। অধিক সংখ্যক পাঠক কোন বই পড়ছেন তা সহজেই ধরা পড়ে যায় কিন্ডলেতে। হকিং ইন্ডেক্স নির্ধারণের প্রশ্নে এই ভিউয়ারশপ হল অন্যতম হাতিয়ার। তবে শুধুমাত্র ভিউয়ারশিপের উপর নির্ভর করে হকিং ইন্ডেক্স প্রস্তুত করেন নি এলেনবার্গ। এলেনবার্গ বরং অধিক নির্ভর করেছেন হাইলাইটের উপর। কিন্ডেলেতে বই পড়ার সময় বিভিন্ন পাঠক বইয়ের বিভিন্ন লাইন হাইলাইট করে থাকেন বা লাইনের নিচে দাগ দিয়ে থাকেন। এই হাইলাইটই হল এলেনবার্গের হকিং ইন্ডেক্স নির্ধারণের অন্যতম চাবিকাঠি। পাঠক যদি কোনও বই পুরোটা পড়ে থাকেন তবে সারা বই জুড়েই হাইলাইট ছড়িয়ে থাকার কথা। কিন্তু পাঠক যদি অর্ধেক বই পড়ে থাকেন তবে হাইলাইটগুলো বইয়ের প্রথমার্ধেই সন্নিবেশিত থাকবে। আর পাঠক যদি আরও কম পাতা পড়ে থাকেন তাহলে হাইলাইটগুলো একেবারে বইয়রে সামনের দিকের পাতা জুড়েই সন্নিবেশিত থাকবে। আর কোনও বইয়ের এই হাইলাইট সংখ্যাকে শতকরায় প্রকাশ করেই হকিং ইন্ডেক্স প্রস্তুত করেছেন এলেনবার্গ। পরবর্তীকালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “So in a book that people are reading all the way through, it might be the case, that those highlights are scattered all the way through the length of the book. But if, on the other hand, there was a book that almost everyone was starting and reading a few pages and then putting down, then all of those highlights would have to be clustered in the first part.”

এলেনবার্গের মতে, পাঠক যে বই যত কম পড়েছেন, সেই বইয়ের হকিং ইন্ডেক্স তত কম হবে। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী ১.৯% হকিং ইন্ডেক্স নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন রাজনীতিবিদ হিলারি ক্লিন্টনের লেখা ‘হার্ড চয়েসেস’ (প্রকাশকাল : জুন ২০১৪)। ২.৪% হকিং ইন্ডেক্স নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফরাসী অর্থনীতিবিদ থমাস পিকেটির গ্রন্থ ‘ক্যাপিটাল ইন দ্য টয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চু্রি’( প্রকাশকাল : অগস্ট ২০১৩)। ৬.৪% হকিং ইন্ডেক্স তৃতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন ঔপন্যাসিক ডেভিড ফস্টার ওয়ালেসের উপন্যাস ‘ইনফিনিটি জেস্ট’( প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬)। এ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী অপঠিত বইয়ের এই সূচিতে হকিংকেও ছাপিয়ে গেছে এই তিন লেখকের বই। ৬.৬% হকিং ইন্ডেক্স নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে স্বয়ং হকিং-এর বই; ‘আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ আর ২৫.৯% ইন্ডেক্স নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে ই.এল. জেমসের উপন্যাস ‘ফিফটি শেডস্‌ অফ গ্রে’।

স্টিফেন হকিং- নামটা যেমন গুরুগম্ভীর ও কঠিন বিষয়ের সঙ্গে জুক্ত, হকিং ইন্ডেক্স  নামটা যুক্ত তেমনই হালকা ও মজার বিষয়ের সঙ্গে। এলেনবার্গ নিজেও স্বীকার করেছেন যে কিছুটা মজার ছলেই তিনি হকিং ইন্ডেক্স তৈরি করেছেন। শুধু লঘু বা মজাই নয় এলেনবার্গের হকিং ইন্ডেক্স ঘিরে রয়েছে বিতর্কও। বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাঁর গ্রন্থ নির্বাচনের পদ্ধতিকে ঘিরে। হকিং ইন্ডেক্সের মূল ত্রুটিই হল; ই-বুকের সফট ভার্শন নয়, যাঁরা বইগুলির হার্ড কপি বই পড়ছেন, তাঁদের এই হিসাবের আওতাভুক্ত করতে পারেন নি এলেনবার্গ। অথচ এখনও পর্যন্ত বিশাল সংখ্যক মানুষ হার্ড কপি বই পড়েন। সেই হিসেবে, এলেনবার্গের হকিং ইন্ডেক্স আদৌ কোনও গ্রহণযোগ্য মাপকাঠি নয় বলে যদি ভেবে নি, তাহলে কিন্তু ভুল করব আমরা। কারণ বর্তমান প্রজন্ম ক্রমেই ই-বুকের দিকে ঝুঁকে চলেছে। আগামী দিনে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পাবে একথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। আর পাঠক যত ই-বুকের দিকে ঝুঁকবে ততই বাড়বে হকিং ইন্ডেক্স-এর গ্রহণযোগ্যতা। এ কথা বলাই যায়, আগামিতে হয়ত হকিং ইন্ডেক্সই বলে দেবে কোন বইটা কোন একটি নির্দিষ্ট বছরের অপঠিত ব্লকবাস্টার।

তথ্যসূত্র : (কয়েকটা ব্লগ, ওয়েবসাইট ছাড়া এই বিষয়ের উপর কোনও গ্রন্থ প্রকাশিত হয় নি।)

1. The Summer’s Most Unread book is … . By Jordan Ellenberg. The wall street Journal, July 2, 2014

2. Tracking the World’s Famous Most Unread Books, by Tamara Keith, NPR, 12 July 2014.

3. The unread, or how the Hawking Index might affect authors’ bottom lines, by Steven W. Beattie, Quill & Quire, 7 July 2014.

মন্তব্য তালিকা - “হকিং ইন্ডেক্স : অপঠিত ব্লকবাস্টার”

  1. কার্ল মার্ক্সের তিন খণ্ডে লেখা Capital এক সময় খুব সস্তায় সোভিয়েত রাশিয়ার প্রকাশনা থেকে পাওয়া যেত। অনেকেই কিনে বাড়িতে রাখত। কয়জন পড়েছে?

    1. দারুণ সুন্দর দেখতে , সাদার ওপর নীল স্ট্রাইপ দেওয়া মলাট – তিন খন্ডের বই । তিন চার অধ্যায় ছাড়া বাকিটা আজ অব্দি পড়া হয়নি

  2. ব্রিফ হিস্ট্রি আমি পড়ে ফেলেছিলাম। কোয়ান্টাম স্পিন বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছিলো, কিন্তু পেরেছি পড়তে।
    কিন্ডলে হাইলাইট করিই না বলা চলে। ও দিয়ে বিশেষ কিছু বোঝা যাবে না।

    1. মতামত প্রকাশের জন‍্য ধন‍্যবাদ। ঠিকই বলেছেন, spin বিষয়টা বোঝা কিছুটা কঠিনই। বিশেষত 1/2 spin, 3/2 spin বিষয়টা বুঝতে প্রাথমিক পর্যায়ে সবারই অসুবিধা হওয়ার কথা।

      এটা স্বীকৃত, কিন্ডলে, বিশেষত হাইলাইটসের উপর নির্ভরতাই হকিং ইন্ডেক্সর মূল প্রতিবন্ধকতা। নিবন্ধেও সেটা উল্লেখ করা আছে। কিন্তু ‘জনপ্রিয়তম অপঠিত’ বিষয়টা তাৎপর্যপূর্ণ। সেটাই এই নিবন্ধে তুলে ধরতে চেয়েছি। সূচীকরণের নতুন পদ্ধতি দিয়ে বিষয়টা বিবেচনা করা প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

আপনার ইমেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।