সূচী

ইতিহাস তথ্য ও তর্ক

আর্কাইভ

কারণটা ছিল ব্যাংকে গচ্ছিত ববি ফিশারের অর্থ। পরিমাণটা নেহাত কম ছিল না। ১৪০ মিলিয়ান আইস্ল্যান্ডিক ক্রোনার। অর্থাৎ দু’ মিলিয়ান আমেরিকান ডলারের বেশি। তাই তিনি মারা যাওয়ার পরেই তাঁর সেই সম্পত্তির স্বত্ব নিয়ে টানাপোড়েন আরম্ভ হতে বেশি সময় লাগলো না। প্রথমে মার্কিন সরকার আইসল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রকের কাছে সুদ সমেত ফিশারের বকেয়া ট্যাক্স আদায় করার জন্যে দাবী করে বসলো। এদিকে আমেরিকা থেকে ববি ফিশারের প্রয়াত দিদি জোয়ানের স্বামী রাসেল টার্গ তার দুই ছেলে আলেক্সজান্ডার আর নিকোলাসকে নিয়ে হাজির হলেন রেইকিয়াভিকে। রক্তের সম্পর্কে জীবিত আত্মীয় হিসাবে তাঁরাও ববি ফিশারের সঞ্চিত অর্থের উপর নিজেদের দাবী জানালেন।
প্রতিদিন ক্যামেরা হাতে দেশ বিদেশের প্রচুর সাংবাদিক তখন জড়ো হচ্ছেন উশিকু ডিটেনশন ক্যাম্পে। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ কোনো অবস্থাতেই ববি ফিশারের সাথে তাঁদের দেখা করার অনুমতি দিতে রাজি নন। প্রথমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় তারপর গায়ের জোরে সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলো কারারক্ষীরা। কোনোক্রমে একজন স্থানীয় রিপোর্টার ভিতরে ঢুকে অনেক দূর থেকে ববি ফিশারকে দেখতে পেলেন। চিৎকার করে ববি ফিশার জানালেন তাঁকে একটা জানলা বিহীন ছোট ঘরে আটকে রাখা হয়েছে। দিনের বেলায় সূর্যের আলো ঢোকে না সেই কুঠুরিতে। অনেক উপরে একটা ছোট ঘুলঘুলি ছাড়া কিছু নেই। সারাক্ষণ ঘরের মধ্যে আশেপাশের সেলগুলো থেকে তীব্র কটু তামাকের গন্ধ তাঁকে অস্থির করে তুলছে।